সিঁদুরে মেঘ। দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গ্রাস করছে চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ফের বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অ্যাকটিভ কেসও ১৬ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ২,৯২৭ জন। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে১৬,২৭৯ জন।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। মোট মৃত্যুর হার ৫,২৩,৬৫৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,২৫২ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। মোট ১৮৮ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে উল্লেখ।
দেশের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি দিল্লিতে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে মোট আক্রান্তের মধ্যে ১২০০ জনের বেশি দিল্লির। ভাবাচ্ছে মহারাষ্ট্রও।
করোনার দাপট কমাতে শুরু থেকেই তৎপর কেন্দ্র। করোনা পর্যালোচনা বৈঠকে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই বৈঠকে থাকতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সম্মেলনে একটি উপস্থাপনা করবেন। গত রবিবারই প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশবাসীকে করোনভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছেন। মানুষকে সতর্ক হতে, মাস্ক পড়তে ও ঘন ঘন হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আবেদন জানিয়েছেন।
বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে। খুলেছে স্কুল, কলেজ। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের কোভিড সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল মঙ্গলবার ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ৬-১২ বছর বয়সী এবং করবেভ্যাক্সকে ৫-১২ বছর বয়সীদের জন্য জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। জাইডাস ক্যাডিলা-র দুটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
Read in English