সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। গত কয়েকদিনে গড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ ভারতে প্রত্যেকদিন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশে কোভিড-১৯ মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। কোভিডে মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক ঘটেছে গত দু'সপ্তাহে। কিন্তু, পরিসংখ্যানের তুল্যমূল্য বিচারে দেখা যাচ্ছে এ দেশে করোনায় মৃত্যু হার এখনও অনেকটাই কম।
Advertisment
দেশে মোট করোনা মৃত্যুর ৮০ শতাংশই ঘটেছে করোনা হটস্পটভুক্ত ২৬টি জেলায়। মুম্বই. দিল্লি, আমেদাবাদ, থানে, চেন্নাইয়েই গত দু'সপ্তাহে একশ-র বেশি করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে এইসব অঞ্চলে ১,৯৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ওই সব রাজ্যের মৃত্যুর নিরিখে যা প্রায় অর্ধেক।
করোনায় মৃত্যু হার বারতে এখনও অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান অনুসারে, এ দেশে কোভিড-১৯ মৃত্যুর হার ২.৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী এই হার ৫.৮ শতাংশ। আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়ায় মৃত্যু হার যথাক্রমে ৫.৭, ৫.৫ ও ১.২ শতাংশ।
Advertisment
মে মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশের ৯০ জেলায় করোনায় মৃত্যু ঘটেনি। তবে বর্তমানে সেখানে অন্তত এক জনের সংক্রমণজনিত মৃত্যুর খবর মিলছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহারে এই সংখ্যা বেশি। লকডাউন শিথিলতার আগে ২২ মে পর্যন্ত দেশের মোট ৭৩৬ জেলার মধ্যে কমপক্ষে ৭০০ জেলায় ন্যূনতম এক জনের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। একই সময় ৬টি হটস্পট ছাড়াও ২০ জেলায় ১০ থেকে ১০০টি সংক্রমণের খবর মেলে। মৃত্যু হয় ৫৯৪ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৪৩ শতাংশ ছিল।
প্রায় ২০৫ জেলায় নতুন করে এক থেকে দশ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটে। গুরুত্বপূর্ণ হল, নতুন করে মৃত্যুর নিরিখে জেলার সংখ্যা বাড়লেও মোট জেলার সংখ্যায় হেরফের খুব একটা নজরকাড়েনি।
মে ২২ পর্যন্ত ২০০ জেলায় এক থেকে দশজনের মৃ্ত্যু হয়েছিল। বর্তমানে জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭৫। ২০ জেলায় ১১-৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জেলায়। পাঁচ জেলায় ৫০-১০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এ ক্ষেত্রে জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭। ৬ জেলায় মৃত্যু হার ১০০-র বেশি।
বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৬ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৬,৯২৯ জনের। করোনায় রোজ মৃত্যুর নিরিখে ভারত আমেরিকা, মেক্সিকো, ব্রিটেন ও ব্রাজিলের ঠির পরেই অবস্থান করছে।