করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিরোধীদের অভিযোগ তারপর থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সমস্যায় বহু মানুষ। ফলে, আর্থিক প্যাকেজের দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদরা। তবে, পত্রপাঠ তা খারিজ করে দিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি, সমাজে ব্যাপকহারে এখনও করোনাভাইরাস আঘাত আনতে পারেনি। তাই আর্থিক প্যাকেজের কোনও প্রয়োজন নেই। সরকারপক্ষের তরফে বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, 'এইভাবে আতঙ্ক বাড়িয়ে তোলা কখনই ভাল কাজ নয়।'
লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'করোনার জেরে ট্যাক্সি, অটো, কুলি, ক্ষেতের মজুর, গৃহ পরিচারক-পরিচারিকা, গার্ড, রাস্তার খাবার ব্যবসী সহ বহু মানুষের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এদের সুবিধার্থে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।'
জবাবে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, 'প্রথম দিন থেকে করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকার তৎপর। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বলে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও মানে হয় না। এটা শুধু ভারতের নয়, আন্তর্জাতিক সমস্যা।'
শুক্রবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই করোনাভাইরাস আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তখন অবশ্য তাঁকে বলতে দেননি স্পিকার এম বিড়লা। কংগ্রেসের দাবি ছিল সংসদে এসে করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশ নিন।
বিএসপি সাংসদ রীতেশ পান্ডের প্রশ্ন ছিল, 'কেন বেছে বেছে মানুষদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে?' জবাবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, 'নির্দিষ্ট গাইডলাইনের ভিত্তিতে করোনার পরীক্ষা চলছে। বর্তমানে এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। ব্যাপক হারে সমাজে ছড়িয়ে পড়েনি।'
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, 'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ মার্চ জনতা কার্ফু তার অন্যতম। সংসদ এক্ষত্রে সঙ্ঘবদ্ধ।'
রাজ্যসভাতেও এদিন করোনা নিয়ে আলোচনা হয়। তৃণমূল সাংসদরা সভা বন্ধ করার আবেদন জানান। গৃহ কোয়ারেন্টাইনের জন্য রাজ্যসবা থেকে ছুটির আবেদন জানান তৃণমূস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, 'কেন্দ্র জানিয়েচে যে ষাট বা তার বেশি বয়সীদের সাবধানে থাকা উচিত। জমায়েত এড়ানো দরকার। রাজ্যসভার বেশিরভাগ সদস্যেরই বয়স ষাটের বেশি। কিন্তু, সেই গাইড লাইন ভেঙে রাজ্যসভার অধিবেশন চলছে। এটা কীভাবে সম্ভব?'
Read the full story in English