দেশের কোভিড গ্রাফে স্বস্তি। প্রায় পাঁচ মাসের মাথায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩০ হাজারের নীচে। বেশ কিছুটা নিম্নমুখী কোভিডে মৃত্যু ও সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত
হয়েছেন ২৮ হাজার ২০৪ জন। দৈনিক মৃত্যু হার ৩৭৩ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৩৯। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়াকে যথেষ্ট ইতিবাচক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কমছে সংক্রমণ, বাড়ছে সুস্থতার হার। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থতার হার ৯৭.৪৫ শতাংশ। তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। তার আগে সুস্থার এই হার যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৫৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৪৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৫১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬৮ জন টিকা পেয়েছেন।
আইসিএমআর-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ লক্ষ ১১ হাজার ৩১৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা মোট ৪৮ কোটি ৩২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৪৫।
আরও পড়ুন- গ্রামীণ ভারতে টিকাকরণে সাফল্য, ৬০ শতাংশই টিকার আওতায়
এদিকে গ্রামীণ টিকাকরণে বড়সড় সাফল্য। গ্রামীণ ভারতের ৬০ শতাংশেরও বেশি নাগরিকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। গত তিন সপ্তাহে গ্রামীণ টিকাকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে। জানা গিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে মোট ৯ কোটি ৮৭ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে গ্রামীণ এলাকাতেই দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ২২ টিকার ডোজ। পরিসংখ্যান বলছে গত তিন সপ্তাহে দেশে মোট টিকাকরণের ৬৩ ভাগই দেওয়া হয়েছে গ্রামাঞ্চলগুলিতে। বর্তমানে দেশের গ্রামাঞ্চলে রোজ ২৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
মারণ করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টিকাকরণই একমাত্র উপায়। বারবার একথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারও দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানোয় জোড় দিয়েছে। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও টিকাকরণ যাতে মসৃণ গতিতে এগোয় সেব্যাপারে তৎপর স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তথ্য বলছে, এই মুহুর্তে দেশের ১১ রাজ্যে করোনা-টিকার ২ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে এই রাজ্যগুলির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে টিকাকরণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন