Advertisment

সবচেয়ে দেরিতে ৩ লক্ষ ছুঁল ভারত, তবে নমুনা পরীক্ষায় বিস্তর পিছিয়ে

মোট করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভারত এখন চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। তালিকায় ভারতের আগে রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৩৪ দিনের মাথায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মোট করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভারত এখন চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। তালিকায় ভারতের আগে রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়া। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুসারে, আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়ায় যে সময়ে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লাখ পার করেছে তার তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি ভালো।

Advertisment

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ পেরোতে ৭৩ দিন সময় লেগেছে। ব্রাজিলের এই সময়সীমার পরিধি ৮৫ দিন। ১০৯ দিনে ৩ লাখ সংক্রমণ ছড়ায় রাশিয়ায়। উল্লেখ্য, এই তিন দেশের মোট জনসংখ্খা ভারতের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

তবে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, করোনা সংক্রমণের প্রথন তিন দেশের তুলনায় ভারতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্য়াও যথেষ্ট কম। প্রতিদিন ১ লাখ পরীক্ষার নিরিখে বারত অন্যান্য বহু রাষ্ট্রের থেকে পিছনে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে এ দেশে প্রত্যহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা প্রতি লাখে ১ জন করে। ভারতে রোজ দেড় লাখ নমুনা পরীক্ষা অনেক দেরিতে হচ্ছে।

publive-image

শনিবার পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে ২০ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত। ব্রাজিল ও রাশিয়ায় এই সংখ্যা যথাক্রমে ৫ ও ৮ লক্ষ। পরিসংযান অনুসারে, ভারতে ১ লক্ষ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছিল ১০৯ দিন (১৮ই মে)। এর দু'সপ্তাহের মাথায় পজিটিভের সংখ্য়া গিয়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষে। সেখান থেকে ৩ লক্ষ সংক্রমিত হতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ দিন। উল্লেখ্য, লকডাউন শিথিল হতেই দেশে রোজকার সংক্রমণের হার গড়ে ৮ হাজারের বেশি। শনিবার সব রেকর্ড ছাপিয়ে একদিনে সংক্রমিত ১১,৪০০ জন।

তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে যে, আমেরিকায় করোনা ১ লাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছিল ৬৫ দিন। তারপর মাত্র পাঁচ দিনে সেই সংখ্যা ২ লাখের গণ্ডি ছুঁয়ে পেলে। এরপর মাত্র তিন দিনের মাথায় আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত ৩ লাখ পারিয়ে যায়। আমেরিকায় দেড় থেকে তিন লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৫ দিন। একই সংখ্যায় সংক্রমণ ছড়াতে ব্রাজিল ও রাশিয়ায় সময় লাগে যথাক্রমে ১২ ও ১৪ দিন।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus corona virus corona
Advertisment