ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের গ্রাফ এবার নিম্নমুখী হবে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই আশার বাণী ‘কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল’-এর। সমীক্ষায় দাবি, এদেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ শিখর ছুঁয়েছে। গত দু’দিন ধরে কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এবার ধীরে ধীরে সেই গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। ‘কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল’ এবং ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ’এর গবেষকরা এই দাবি করেছে।
দেশে সংক্রমণের প্রকৃতি পর্যালোচনা করে আগামী দিনে কী হবে? তার একটা ধারণা দিয়েছেন গবেষকরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত ৭ মে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮। এই সংখ্যা আমেরিকার সর্বোচ্চ শিখরের তুলনায় ৩২ শতাংশ বেশি। তারপর থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
তাঁদের সংযোজন, ‘সার্বিক ছবিতে সংক্রমণ শিখর ছুঁলেও কয়েকটি রাজ্যে এখনও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। অসম, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরার মতো কিছু রাজ্যে সংক্রমণের হার আগামী দু’সপ্তাহেও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তাই সার্বিক ছবিতে বদল হলেও কিছু রাজ্য অন্য রকম ছবি দেখাবে।‘
কিন্তু মৃত্যুহ্রাসের নিরিখে এখনও আশা দেখাতে পারেনি সেই সমীক্ষা। তাদের মত, সংক্রমণ শিখর ছুঁলেও করোনায় মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। দাবি, ‘ভারতের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিষেবা খুবই উদ্বেগজনক। অক্সিজেন, আইসিইউ শয্যা, ওষুধের অভাব। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগামী কয়েক দিন মৃত্যু ৪ হাজারের আশপাশেই থাকবে।
গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সেই সমীক্ষা। তাদের পরামর্শ, ‘ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ভাইরাস সক্রিয় তার সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এই প্রজাতি অনেক দ্রুত সংক্রামক।এমনকি করোনার টিকার মাধ্যমে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেই অ্যান্টিবডিও অনেক সময় এই ভাইরাসকে রুখতে ব্যর্থ হয়। ফলে টিকা নেওয়ার পরেও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।‘ এদিকে, চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বি.১.৬১৭ প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ তকমা দিয়েছে।