৬৪টি উড়ানে লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। জানাল বিদেশমন্ত্রক। আগামী ৭ মে থেকে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে প্রবাসে বন্দি ভারতীয়দের, সোমবারই টুইট করে এই ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন জানানো হয়েছে যে, ৭ মে থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর কাজ চলবে।
Advertisment
বিদেশমন্ত্রকের পরিকল্পনা অনুসারে, আরব আমিরশাহী, কাতার, সৌদি আরব, বাহারিন, কুয়েত, ওমান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, বাংলাদেশ ও ফিলিপিন্স থেকে উড়ানে করে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। পরিসংখ্যান মোতাবেক, মহামারীর জেরে কেরালার সব বহু বাসিন্দা বিদেশে আটকে পড়েছেন। তাই ১৫টি বিমানের মাধ্যমে ওই রাজ্যের বাসিন্দাদের পৌঁছনো হবে। এরপরই রয়েছে দিল্লি ও তামিলনাড়ু। এই দুই রাজ্যে ১১ বিমান যাবে। মহারাষ্ট্র-তেলেঙ্গানায় ৭টি, গুজরাটে ৫টি, ৩টি করে বিমান যাবে জম্মু-কাশ্মীর, কর্নাটকে। তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশেও।
ইতিমধ্যেই দেশছাড়াদের ফেরাতে উড়ানের রুট নির্ণয়ও হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে যে, ম্যানিলা-চেন্নাই, শিকাগো-দিল্লি-হায়দ্রাবাদ, নিউ ইয়র্ক-দিল্লি-হায়দ্রাবাদ, কুয়েক-কোঝিকোড ও সানফ্রান্সিসকো-দিল্লি-বেঙ্গালুরু রুটে চালানো হবে বিমান। প্রায় ২ হাজার ভারতীয় দেশে ফিরবেন।
সোমবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিমান এবং জাহাজের মাধ্যমে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রেও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (এসওপি) মানা হবে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাস এবং হাই কমিশন ভারতীয় নাগরিকের একটি তালিকা প্রস্তুত করছে। তবে পেমেন্টের ভিত্তিতে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ৭ মে থেকে পর্যায়ক্রমে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।”
বিবৃতিতে উল্লেখ, বিমানে নেওয়ার আগে যাত্রীদের মেডিকেল স্ক্রিনিংও করা হবে। যারা এই পরীক্ষায় পাস হবে তাঁদেরকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশই মানা হবে। তবে গন্তব্যে পৌঁছে সবাইকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। স্ক্রিনিংয়ের পর তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনেও রাখা হবে কোনও হাসপাতালে বা কোনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। যদিও এই বিষয়গুলি দেখবে রাজ্য সরকার।