Advertisment

রাজ্যের সীমানা অবিলম্বে বন্ধ করুন, নির্দেশ কেন্দ্রের

কোভিড-১৯ গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রর কড়া নির্দেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
amit shah

অমিত শাহ।

টানা ২১ দিনের লকডাউন। বন্ধ কাজ। তালা রুটিরুজিতেও। এই পরিস্থিতে গ্রামে ফিরতে উদ্যোগী শ্রমিকরা। ট্রেন-বাস না পেয়ে দিল্লির মতো বড় শহরগুলি থেকে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটেই গ্রামের দিকে রওয়ানা দিয়েছেন। ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা রুখতে, রাজ্যের সীমানা সিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রে।

Advertisment

রবিবারই 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে পরিযায়ী শ্রমিকদের এই ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, '‘বেশ কিছু মানুষ নিয়ম ভেঙে সমাজের ক্ষতি করছেন। লকডাউন ভাঙলে করোনা থেকে বাঁচা মুশকিল।' লকডাউনের জেরে প্রবল সমস্যায় মানুষ। সেই অনুষ্ঠানেই ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মোদী বলেন, 'আমি জানি এই লকডাউনের ফলে মানুষের অনেক সমস্যা-দুর্ভোগ হচ্ছে। তার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।'

এরপরই মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে রাজ্যের সীমানা সিলেন নির্দেশ দেন। তবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্যগুলিুকে অস্থায়ী আশ্রয় ও খাবার দেওয়ারও বন্দোবস্ত করার আর্জি জানিয়েছে মোদী সরকার। প্রয়োজনে অর্থিক সহায়তারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এরপরই দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য তাদের সীমানা সিল করে দিয়েছে।

চলাফেরা রুখতে রবিবার কড়া নির্দেশও জারি করে। রাজ্যগুলির প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র জানায়, এইসময় যেসব পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে বাড়ি ফিরছেন তাদের বাদ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।

লকডাইনে নিয়ম ভাঙলে করোনা সংক্রমণ বিস্তার ঠেকানো যাবে না বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল। কেন্দ্রীয় নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে দিল্লি পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় বাস, ফাঁকা করে দেওয়া হয় বিভিন্ন স্ট্যান্ড। পরিযায়ী শ্রমিকরা যেখানে রয়েছেন সেখানেই তাজের থাকতে বলা হয়। হরিয়ানাও রাজ্যের সীমানা সিল করে দেয়।

Read the full story in English

amit shah corona
Advertisment