লকডাউন আমান্য করলেই পড়তে হবে কড়া শাস্তির মুখে। আইনভঙ্গকারীর হাজার টাকা জরিমানা বা ছ'মাসের হাজতবাস হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় নির্দেশে এমনটাই জানানো হয়েছে।
২২ রাজ্যের ৭৫ জেলায় লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবই বন্ধ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ট্রেন চলাচলেও জারি হযেচে নিষেধাজ্ঞা। আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবাও বন্ধ। করোনাভাইরাসের গোষ্ঠীসংক্রমণ রুখতেই এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ। নির্দেশিকা জারি হলেও সোমবার সকালে বিধি ভেঙে বহু জায়গায়তেই সাত জনের বেশি জমায়েত লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর তারপরই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর হয়েছে কেন্দ্র। এদিন সকালেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলি জানানো হয়, লকডাউন যে বা যারা ভাঙবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠিন পদক্ষেপ যেন প্রয়োগ করা হয়। পরে লকডাউন ভাঙার শাস্তির কথা প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও করোনাতঙ্ক, ভিডিও কনফারেন্সে হবে জরুরি শুনানি
করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তাও মানুষের লকডাউন ভাঙার প্রবণতায় বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী। লকডাউনকে যাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁদের টুইট বার্তায় সতর্ক করেছেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন যে, 'এখনও পর্যন্ত অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁরা গুরুত্বসহকারে লকডাউনকে বিবেচনা করছেন না। অনুগ্রহ করে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষা করুন। নির্দেশিকা মেনে চলুন।' রাজ্যগুলিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য রাজ্য সরকারগুলোর কাছেও কাছেও আর্জি জানাচ্ছি।’
করোনা মোকাবিলায় কলকাতায় সহ বাংলায় সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকেই লাগু হবে লকডাউন। রাজ্য প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, মহামারী নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ীই কিছু পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। কেউ সরকারি নির্দেশ লংঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ করা হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা গত তিন দিনে হু হু করে বেড়েছে। শুধু রবিবারেই আরও ৮১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৫। এই পরিস্থিতিতে জমায়েত রুখতে পাঞ্জাবে কার্ফু জারি করেছে ক্য়াপটেন অমরিন্দর সিং সরকার।