ব়্যাপিড টেস্ট কিট কীভাবে ব্যবহার করা হবে তারই নিজস্ব কৌশল তৈরি করছে রাজ্যগুলো। আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে রোড ম্যাপ। যেমন, ছত্তিশগড় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ে এই কিটের ব্যবহার করা হবে। আবার গোয়া ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা ক্ষেত্রে ব়্য়াপিড টেস্ট কিটকে আগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও ঝাড়খণ্ডে ওই কিট হটস্পটে বা রেড জোনে ব্যবহার হবে। মুম্বই, হরিয়ানায় ব়্যাপিড টেস্ট কিট স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ ও নিকাশী কর্মীদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।
Advertisment
কেরালায় প্রায় এক লক্ষ ব়্য়াপিড টেস্ট কিট পৌঁছেছে। এই কিট রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, করোনা আক্রন্ত হতে পারেন এমন সব ব্যক্তিদের পরীক্ষার কাজে লাগানো হবে। গোয়া পেয়েছে ৪ হাজার কিট। যা দিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত ব্যক্তিদের আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হবে। ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীর পেয়েছে যথাক্রমে ৪৫০০ ও ১২ হাজার কিট। স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়াও ব়্যাপিড কিট দিয়ে সংক্রমিত এলাকা ও পেরিফেরি জোনে পরীক্ষা করা হবে।
হরিয়ানায় শুক্রবারই ১০ হাজার কিট পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার হটস্পট বলে চিহ্নিত গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, নুহ ও পঞ্চকুলায় এই কিট করোনা পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাদেরও পরীক্ষা হবে। করোনা বিধ্বস্ত মুম্বই। শহরের পুর কর্মীদের ব়্যাপিড কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে। এরপর অবশিষ্ট কিট অন্যন্য়দের পরীক্ষার কাজে লাগানো হবে।
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের পাঠানো কিট এখনও পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তবে তা এলে সংক্রমিত এলাকায় কাজে লাগানো হবে। তামিলনাড়ুতে ৩৬ হাজার কিট রয়েছে। য়া হটস্পট বলে চিহ্নিত চেন্নাই, কোয়েম্বাটোর, সালেময়ে করোনা পরীক্ষার কাজে লাগানো হবে। এছাড়াও যাঁদের সংক্রমণের সম্বাবনা রয়েছে এমনসব জায়গাতেও কিট কাজে লাগানো হবে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে যে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরতের আগে ব্যক্তিদের কিটের মাধ্যমে করোনা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে।