Advertisment

হাততালি পেলেও হেনস্থার শিকার করোনা চিকিৎসক-কর্মীরা

দেশের বহু স্থানেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করে হুমকির শিকার হচ্ছেন ডাক্তারবাবু, নার্স বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus, করোনাভাইরাস

ব্যবধান কয়েক ঘন্টার। করোনা মোকাবিলার জন্য 'জনতা কার্ফু'র দিন বিকেল পাঁচটায় করতালি, কাঁসর ঘন্টা, থালা বাজিয়ে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের বাহবা দিয়েছিলেন দেশবাসী। কিন্তু, অনেকাংশেই সেই মনোভাব অতীত। দেশের বহু স্থানেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করে হুমকির শিকার হচ্ছেন ডাক্তারবাবু, নার্স বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। সেই তালিকায় শামিল শহর কলকাতাও।

Advertisment

করোনা পজেটিভ কিনা তার পরীক্ষা হচ্ছে কলকাতার নাইসাডে। এখানে কর্মরতা ৩০ বছর বয়সী মহিলা দক্ষিণ কলকাতার ভাড়া বাড়িতে থাকেন। শহরে করোনা আতঙ্ক বাড়তেই ওই মহিলাকে ঘর ছাড়তে বলেছেন বাড়িওয়ালা। ওই মহিলার এর পরিচিত জানিয়েছেন, নাইসেড কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে ফের মহিলাকে বাড়িতে তাকতে দিতে রাজি হন বাড়িওয়ালা।

আরও পড়ুন: ৯ দিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে ৫০০, নজরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো

একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরতা ১৫ জন নার্সকেও। ইএম বাইপাসের ধারে বেসরকারি এক হাসপাতে মৃত্যু হয় এক করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের। সেই হাসপাতালে কর্মরতা এই ১৫ জন নার্স। তাঁরা থাকেন বাড়ি ভাড়া করে। তাঁদেরকেও বাড়ি ওয়ালা বাড়ি ছাড়ার কথা বলেছে। এক নার্সেক কথায়, 'আমরা অতিরিক্ত ডিউটি করছি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছি। তারপর বাড়ি ফিরে যদি শুনতে হয় ঠাঁই হবে এখানে বেরিয়ে যাও- তখন কী অবস্থা হয় ভাবুন একবার। তবে হাসপাতালের সহায়তায় ঝামেলা মিটেছে।'

করোনায় মৃত ওই প্রৌঢ়কে দাহ করার জন্য নিমতলা মহাশ্মশানে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই হাসপাতালেরই এক কর্মী। বাড়ি ফিরতেই তাঁকে প্রতিবেশীদের হেনস্থার মমুখে পড়তে হয়েছে।

বিলাসপুরে এক চিকিৎসক দম্পতি এবং তাদের ছেলে গত সোমবার থেকে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওবার্তাগুলি দেখে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। রীতিমত তাঁদের হুমকি দিয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। সামাজিক বয়কটের হুমকির মুখেও পড়েন তাঁরা। এক নার্সিংহোমের মালিক ডঃ এসকে বুধিয়া ও রেশমি বুধিয়া রায়পুরে গিয়েছিলেন তাঁদের ছেলেকে আনতে। তাঁদের ছেলে আমেরিকা থেকে ফিরেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মারণ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক থেকেই এই কাণ্ড। সতর্ক ও সচেতনতাই পারে অবস্থার বদল ঘটাতে।

এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলে বুধবার নবান্ন থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মানবিক হওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।

Read the full in English

coronavirus
Advertisment