দেশজুড়ে নিত্য করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। ছ'টি রাজ্য ও দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এই বৃদ্ধির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগী কেন্দ্র। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া রাজ্যগুলোকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে জোর দিতে বললো মোদী সরকার। এক্ষেত্রে আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাকরণ করার কথা বলা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে যাতে আগামী ১৫ দিন প্রতিষেধক মেলে তার ব্যাবস্থা করতে বলা হয়েছে। একজন কোনা পজিটিভ হলে অন্তত ২০ জনের কনট্র্যাক্ট ট্রেসিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কোভিড-১৯ জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ ও নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি ও চণ্ডিগড়ের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
দিল্লির ৯ জেলা, হরিয়ানার ১৫ জেলা, অন্ধ্র ও গোয়ার ১০ জেলা, হিমাচলের ৯ ও চণ্ডিগড়ের ১টি জেলায় গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিষয়টিকে উদ্বেগের বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে করোনার হার সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। পজিটিভ রেট বৃদ্ধির তালিকায় ছিল পাঞ্জাবও। তাই সংক্রমণ যাতে ফের ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।
তবে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, হরিয়ানাতে। যা আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Read In English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন