পরিস্থিতি শোচনীয়। দেশজুড়ে দৈনিক করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। আর দিন কয়েকের মধ্যেই প্রতিদিনের সংক্রমণ লাখ ছুঁয়ে ফেলার আশঙ্কা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। এই পরিসংখ্যানই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১২৯ জন। এবং মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। আর একদিনে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মাত্র ৪৪ হাজার ২০২ জন। অর্থাৎ আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই কম। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯০৯।
ভারতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৪১ জন। সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১১০।
আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০৫। ইতিমধ্যে ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৯৫ জনের টিকাদান হয়েছে।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারপ। শুক্রবার এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৯১৩ জন। কর্নাট ও দিল্লিতেই সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পাঞ্জাব, ছততিশগড়, ণধ্য ও উত্তরপ্রদেশের পরিসংখ্যানও।
করোনা বৃদ্ধির নিরিখে কেন্দ্রীয় সরকার ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে 'গুরুতর উদ্বেগসম্পন্ন' বলে নির্ধারণ করেছে। এই রাজ্যগুলো হল- মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্নাটক, কেরালা, ছত্তিশগড়, গুজরাট, চণ্ডীগড়, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, ও হরিয়ানা। ভারতের গত ১৫ দিনে করোনা আক্রান্ত ও সংক্রমণে মৃত্যুর ৯০ শতাংশ এ রাজ্যগুলো থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহারাষ্ট্রে লকডাউন জারির সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন