Advertisment

করোনা আতঙ্ক: উহান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতীয়দের

জিয়াংহান ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনে পাঠরত প্রায় ৪৫ জন ভারতীয় পড়ুয়া, যারা তাদের হোস্টেলে কার্যত বন্দী, ভারত সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus news

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে চিন। ছবি- সিজিটিএন/ টুইটার

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চিনের উহানে আটকা পড়া ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্র, মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সোমবার চিন থেকে ভারতে ফেরা তিনজন ভারতীয় পুরুষকে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট ডাঃ মীনাক্ষী ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, “ওঁরা নিজেরাই সর্দিকাশি নিয়ে হাসপাতালে আসেন, যেহেতু এই উপসর্গগুলি করোনাভাইরাসের সঙ্গে মেলে।”

Advertisment

মঙ্গলবার চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৬। ভাইরাস যাতে আরও না ছড়ায়, সেই প্রচেষ্টায় দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল চিন। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে যে একদিন আগের ২,৮৩৫ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪,৫১৫।

তাঁরা নভেল করোনাভাইরাস (nCoV) আক্রান্ত, এই সন্দেহে মুম্বইয়ের তারদেও এলাকার এক বাসিন্দা এবং পুণের একজন বাসিন্দা সমেত মহারাষ্ট্রে পাঁচজনকে কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। কেরালায় ৪৩০ জনের বেশি ব্যক্তি, যাঁরা অধিকাংশই চিনের উহান প্রদেশ থেকে ফিরেছেন, আপাতত নজরদারিতে রয়েছেন। এছাড়াও কিছু রুগীকে বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে কলকাতা এবং পাঞ্জাবে।

অন্যদিকে উহান প্রদেশেরই জিয়াংহান ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনে পাঠরত প্রায় ৪৫ জন ভারতীয় পড়ুয়া, যারা তাদের হোস্টেলে কার্যত বন্দী, ভারত সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।

দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এই ভাইরাস এবং তার প্রতিরোধ। বিভিন্ন দেশের সরকার চেষ্টা করছে তাদের নাগরিকদের চিন থেকে বের করে আনতে। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, সেদেশে অন্তত ১১০ জন নাগরিককে সম্ভাব্য সংক্রমণের আশঙ্কায় নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এই খবর জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ভাইরাসের আতঙ্কে পতন ঘটেছে শেয়ার বাজারেও, গত অক্টোবরের পর এত দ্রুত পতন এই প্রথম। মঙ্গলবার আরও পড়ে যায় এশিয়ান শেয়ারের দাম। জাপানের নিক্কেই পড়ে যায় ০.৭ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার শেয়ার পড়ে ১.৩ শতাংশ, এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক খাড়া নেমে যায় ২.৬ শতাংশ। সোমবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সেনসেক্স ৪৫৮ পয়েন্ট অর্থাৎ ১.১০ শতাংশ নেমে হয় ৪২,১৫৫.১২। নিফটি নামে ১২৯.২৫ পয়েন্ট, বা ১.০৬ শতাংশ, দিন শেষ করে ১২,১১৯ পয়েন্টে।

coronavirus
Advertisment