সার্স। নামেই আতঙ্ক লুকিয়েছিল। ২০০২-০৩ সালে চিনে সার্সে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। কিন্তু, করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা ১৭-১৮ বছরের আগের সেই মহামারির থেকেও ভয়ঙ্কর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুশারে এখনও পর্যন্ত চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮১১। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৩৭,১৯৮ জন।
Advertisment
করোনা আতঙ্ক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে হু।
নোভেল করোনাভাইরাসের গ্রাসে চিনের উহান শহর। সেখানে এখন শুধুই স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের রিপোর্ট বলছে, চিনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজারের কাছাকাছি। উহান থেকে যে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তার প্রকোপ এখন চিনের অন্যান্য শহরেও। রাজধানী বেজিং ও সাংঘাইতেই প্রায় ৪০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তবে, চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত কয়েক দিনে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস অ্যাধানম গ্যাব্রায়াসাস জানিয়েছেন, বেজিং চাইলে সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ দল চিনে পাঠানো হবে। পরের সপ্তাহের প্রথম দিকেই সেই দল চিনে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন থেকে ভারতেও ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাসের থাবা। কেরালায় তিনজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছেদক্ষিণের এই রাজ্যেও। পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই ৬০০-রও বেশি মানুষকে বিশেষ দুটি বিমানে চিন থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা জানতে কেরালায় ৩,১৪৪ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
উহান সিটি সেন্টার হাসপাতাল।
এদিকে, বিমান ক্রুরা যেতে না চাওয়ায় চিনে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের দেশে ফেরানোর কাজ বাধা পাচ্ছিল। ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুশারে, এদিন সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।