রোটাভাইরাস হোক কিংবা করোনাভাইরাস, ভারতে এই দুই রোগের ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি ডঃ গগনদীপ কাং। তিনিই ভারতের একমাত্র মেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট তিনি রোটাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রস্তুতের পুরোধা ছিলেন। সেই তিনিই এবার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে থাকা ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
গগনদীপ কাং, একজন ক্লিনিশিয়ান বিজ্ঞানী এবং ভারতের ভেলোরে অবস্থিত ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক। এছাড়াও ফরিদাবাদে অবস্থিত ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বায়ত্বশাসিত ট্রান্সলেশনাল স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট-এর অধিকর্তা ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এবং মর্যাদাপূর্ণ রয়াল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। সোসাইটির ৩৬০ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি এই সম্মানের অধিকারী হয়েছেন।
আরও পড়ুন, করোনাভাইরাস বায়ুবাহিতই, হু-র সুপারিশ সংশোধন করতে নির্দেশ বিজ্ঞানীদের
যদিও প্রখ্যাত এই বিজ্ঞানী জানান যে তিনি একেবারেই ব্যক্তিগত কারণে এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। রবিবারই রাশিয়াকে ছাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের তৃতীয় স্থানে চলে আসে ভারত। সেই প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানী গগনদীপ কাং-এর এহেন পদত্যাগ ভাবিয়ে তুলছে সব মহলকে। ডঃ কাং-এর নেতৃত্বে সারস-কোভ২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিজেন তৈরির কাজ চালাচ্ছিলেন অনেক গবেষক। কিন্তু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পারে মে মাসে হঠাৎই ইনস্টিটিউটিতে 'বন্ধ করে দেওয়া হয়' করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক সদস্য বলেন, আইসিএমআর জানতে পারে তাঁদের কাজের সঙ্গে বিজ্ঞানীর কাজ 'ওভারল্যাপ' করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই বিজ্ঞানী বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। সোমবার বিজ্ঞানী গগনদীপ কাং-এর সঙ্গে পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে কমিটি ছেড়ে বেরিয়ে আসার সঙ্গে পদত্যাগের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করেছি। গত বছরেই ছাড়তে চেয়েছিলাম। অনেক বছর বাড়ি থেকে দূরে রয়েছি। এবার আমার বাড়ি ভেলোরে ফিরে যেতে চাই।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন