কোভিড-১৯ ভাইরাসকে পরাস্ত করতে একের পর এক ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে বিশ্ব। জোরকদমে চলছে তার ট্রায়ালও। সেই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুত এবং কার্যকারিতায় এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং মডার্না। হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, "ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা যে যেই অবস্থানে রয়েছে সেই সবদিক বিবেচনা করেই বলতে পারি যে এই দুই ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত কার্যকারীতায় উন্নতমানের।"
সৌম্যা স্বামীনাথন এও বলেন, "আমরা সকলেই জানি মডার্নার ভ্যাকসিনটি সম্ভবত জুলাইয়ের মাঝামাঝি তিন ধাপের একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে চলেছে। সেদিক থেকে দেখলে অক্সফোর্ডের থেকে তারা খুব একটা পিছিয়ে নেই।"
কী এই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন?
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে AZD1222 (ChAdOx1 nCoV-19) ভ্যাকসিনটি তৈরি করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানবদেহে তৃতীয় ট্রায়ালও শুরু করতে চলেছে এই সংস্থা। শনিবারই ব্রাজিলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে তারা এই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ১২৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে সে দেশে এই ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য।
বিশ্বে প্রস্তুত ভ্যাকসিনগুলিম কোন অবস্থানে রয়েছে?
এই ভ্যাকসিনের গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল করোনা আক্রান্তের দেহে এই ভ্যাকসিন একবার প্রয়োগ করলে পরবর্তী এক বছর এর কার্যকারিতা থাকবে শরীরে। মানবদেহে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সাহায্য করবে এই ভ্যাকসিন, এমনটাই দাবি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও।
অন্যদিকে মডার্না তাদের mRNA-1273 ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। আগামী মাসেই ত্রিশ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে ট্রায়াল হবে এই ভ্যাকসিনের। সংস্থার সিইও সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে যে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ ঠিকমতো চললে চলতি বছরের নভেম্বর (থ্যাংক্সগিভিং) মাসে এই ভ্যাকসিন সকলের জন্য উপলব্ধ করতে পারবেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন