Advertisment

করোনায় করুণ অবস্থা: প্রতি ৩৬ হাজার ভারতীয় পিছু ১ জনের ভাগ্যে মিলছে কোয়ারেন্টাইন

ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পাওয়া নথি কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াতে বাধ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আইসোলেশন ওয়ার্ড

ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পাওয়া নথি কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াতে বাধ্য। ১৭ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে, ৮৪ হাজার ভারতীয় প্রতি একটি করে আইসোলেশন শয্যা নির্ধারিত রয়েছে। প্রতি ৩৬ হাজার ভারতীয়র জন্য কোয়ারেন্টাইন শয্যা সংখ্যা মাত্র একটি। ১১ হাজার ৬০০ জনের জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক ধার্য রয়েছেন।

Advertisment

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই নথিই প্রধানমন্ত্রীকে মোদীকে 'জনতা কার্ফু' জারির সিদ্ধান্তকে তরান্বিত করেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখে বারে বারে শোনা গিয়েছে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ। স্বাস্থমন্ত্রকের নথি জনস্বাস্থ্যের কঙ্কালসারকেই প্রকাশ্যে আনল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষায় বেসরকারি ল্যাবরেটরিদের যথেচ্ছাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের

আইসিএমআর-জিনোমিক্স ইনস্টিটিউট এবং ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির ডিরেক্টর অনুরাগ আগরওয়াল বলেছেন, 'আমরা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছি। এই পর্যায়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কার্যকর। সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়ে লকডাউন অবশ্যই দরকার। আইসিএমআর এটি খুব স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত প্রতিটি করোনা আক্রান্তের বিষয়ে পুঙ্খাপুঙ্খ ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে। এই স্তরে জনতা কার্ফু ভবিষ্যতের জন্য ভাল অনুশীলন। বর্তমান তথ্যের নিরিখে সরকার সঠিক কাজ করছে।'

করোনা নোকাবিলায় গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে করেছিলেন। সেখানেই আইসিএমআর-এর ডিজি ডঃ বলরাম ভার্গব জানিয়েছিলেন যে, ভারত বর্তমানে সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ঝুঁকি কমাতে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বৃদ্ধির বিশষয়ে গুরুত্ব আরোপ প্রয়োজন।

ন্যাশনাল হেল্ড প্রোফাইল ২০১৯ অনুসারে, ভারতে ১,১৫৪,৬৮৬ নথিভুক্ত অ্যালোপাথি চিকিৎসক ও সরকারি হাসপাতালে ৭,৩৯,০২৪ শয্যা রয়েছে।

পরিসংখ্য়ানই জানান দিচ্ছে যে, ১৩৫কোটির দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর হাল অত্যন্ত বেহাল। করোনার ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা হল যে, বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনুপস্থিতি। ফলে সরকারি পরিকাঠামোর উপরই কেবল নির্ভর করতে হচ্ছে।

Read the full story inn English

coronavirus corona
Advertisment