ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সামগ্রিক মৃত্যুহার ৩.৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৭৫.৩ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব। মৃতদের ৮৩ শতাংশই ক্রনিক রোগে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশ্লেষণে প্রকাশ, মৃতদের ৪২.২ শতাংশই পঁচাত্তর বছরের বেশি বয়সী। এরমধ্য়ে ৬০-৭৫ বছর বয়সী প্রায় ৩৩.১ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। ৪৫-৬০ বছর বয়য়ী করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০.৩ শতাংশ। ১৪.৪ শতাংশ মৃতের বয়স ৪৫ বছরের নিচে।
Advertisment
করোনা হানায় ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে দেশে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার পার করেছে। সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২১.৮ শতাংশ করোনা আক্রান্তের তবলিঘি জামাত যোগ চিহ্নিত করা গিয়েছে। দিল্লি, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ুতে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisment
তবে, স্বস্তির বিষয় হল লকডাউনের ফলে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ বেশ কিছুটা কমেছে। পাটনা, নদিয়া ও পানিপথ থেকে নতুন করে আর করোনা আক্রান্তের খবর মেলেনি। সব মিলিয়ে ১২ রাজ্যের ২২ জেলা ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের যেসব জায়গায় করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল সেখান থেকে গত ১৪ দিনে আর কেই পজেটিভ হননি।
কেরালার কাসারাগোদ থেকে ভঙারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়তে থাকে। তবে, গত ২৮ দিনে এখন ওই জায়গায় আর কেউ সংক্রমিত হননি। এক্ষেত্রে লকডাউনের নিয়ম জোরদারভাবে লাগু করতে ড্রোনের ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন লভ আগারওয়াল। কাসারাগোদে সব বাড়িতে ইতিমধ্যেই নজরদারি চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি
ভারতে হাইড্রক্সিক্লোরকুইন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে ৪৮০ জনমের শরীরে। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান আইসিএণআর-এর প্রধান ডাঃ আর আর গঙ্গাখেদকার। তিনি বলেছেন, 'পরীক্ষামূলভাবে না হলেও ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন বলেছেন, ওই ওষউধ খেয়ে তাদের ব্য়াথা ও ঘুম পাচ্ছে। কয়েকজনের আবার হাইপোগ্লাইসিমিয়া হচ্ছে।'