দিল্লিতে ফের বাড়ল লকডাউন, মহারাষ্ট্রে বাড়ছে 'কালো ছত্রাকে'র আক্রমণ

মহারাষ্ট্রে বাড়ছে কালো ছত্রাকের সংক্রমণ। চিন্তা বাড়িয়ে এই রোগের ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে সে রাজ্যে। দিল্লিতে ফের লকডাউন

মহারাষ্ট্রে বাড়ছে কালো ছত্রাকের সংক্রমণ। চিন্তা বাড়িয়ে এই রোগের ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে সে রাজ্যে। দিল্লিতে ফের লকডাউন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েকদিনে কিছুটা কমলেও সংক্রমণের হার এখনও অনেকটাই। এই আবহে ফের লকডাউন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নতুন ঘোষণা অনুসারে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে রাজধানীতে।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, “লকডাউন করে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় এ ভাবে যতটা সাফল্য মিলেছে, তা আমরা হারাতে চাই না। যে কারণে আরও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ২৪ মে ভোর ৫টা পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে”।

এটা ঠিক যে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে। শনিবার দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৪৩০। পজিটিভিটি রেট নেমেছে ১১.৩২ শতাংশে। তবে শনিবারের রিপোর্ট বলছে করোনার জেরে শহরে মৃতের সংখ্যা শেষ ২৪ ঘণ্টায় পৌঁছেছে ৩৩৭ জনে। যদিও সংক্রমণের হারকে শূন্য করতে চায় দিল্লি সরকার। তাই আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের কার্যকর থাকছে। এই নিয়ে চতুর্থ বার সেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলা

Advertisment

আরও পড়ুন, কোভিড রোগীদের অন্ধ করে দিচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’! কেন এই রোগ হচ্ছে?

এদিকে, মহারাষ্ট্রে বাড়ছে কালো ছত্রাকের সংক্রমণ। চিন্তা বাড়িয়ে এই রোগের ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে সে রাজ্যে। অ্যামফোটেরিসিন বি (অ্যাম্ফো-বি) ওষুধের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর এবং অন্যান্য জেলার কয়েকটি জেলায় এই ওষুধের ঘাটতি শুরু হয়েছে। একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতজন রোগীর চিকিৎসা চলছে এই বিরল ছত্রাকের সংক্রমণের।

পুণে জেলার কেমিস্টদের সমিতির কোষাধ্যক্ষ রোহিত কার্প বলেছেন, কোভিড-আক্রান্ত মিউকোমাইকরকোসিসের কারণে লিপোসোমাল অ্যামফোটেরিকিন চাহিদা বেড়েছে। সাধারণত, কোনও হাসপাতালে কোভিড -১৯ এর আগে প্রতি মাসে ১০০টি ওষুধের প্রয়োজন হত । তবে, এখন রোগী প্রতি ১২০টি শিশি লাগছে। বর্তমানে পুনে জেলার বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটর হাসপাতাল থেকে শুরু করে ১০০০-১৫০০ শিশি পর্যন্ত পৌঁছেছে।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

delhi coronavirus Lockdown