দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ চলছে জোর কদমে। কিন্তু স্বস্তি নেই। দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে কোভিড। সোমবার একদিনে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৪৯২ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫১ জন। পাঞ্জাবে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮১৮ জন। বর্তমানে দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ লক্ষ ২৩ হাজার।
এদিকে দেশে যে হারে করোনা ভাইরাস ফের বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত কেন্দীয় সরকার। বুধবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। অন্যদিকে, মোদী রাজ্য গুজরাটের আমেদাবাদ, ভাদোদরা, সুরাট এবং রাজকোটে রাত ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই কার্ফু।
গুজরাটেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৭১৭। মৃত্যুও হচ্ছে পাল্লা দিয়ে।
এছাড়াও মহারাষ্ট্রে ফের জারি হল কোভিড নিষেধাজ্ঞা। সংক্রমণে লাগাম পরাতে রাজ্যের সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তরাঁ, শপিং মল এবং অফিসগুলিতে কোভিড প্রোটোকল অমান্য করলেই সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন সঠিক স্ট্র্যাটেজি নয়, এমনটাই জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। একাধিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি বিচার করেই লকডাউনের পথে হাঁটা উচিত। এই পর্যায়ে ভাইরাস আটকানোর জন্য লকডাউন হ’ল সঠিক কৌশল এমনটা নয়। লকডাউন একটি- সাময়িক উপায়। দীর্ঘমেয়াদি নয়। প্রথম পর্যায়ে এর প্রয়োজন ছিল কারণ স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে উন্নত করার জন্য এমনটাই জানান হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন