দেশে করোনা সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৮৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার, সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা ১লক্ষ ৫১হাজার ৭৬৭ জন। সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৬৪,৪২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ ৩৩৭ জনের। পরিযায়ীদের ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যেও সংক্রমিতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। এদিকে করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার হু আপাতত বন্ধ করতে বললেও ভারত করোনা রোধে ম্যালেরিয়ার এই ওষুধের উপরই আস্থা রাখছে। দেশে করোনা সংক্রমণের হারএখনও উর্ধ্বমুখী হলেও বর্তমানে সহজেই মিলছে টেস্টিং কিট। তাই বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরীক্ষার খরচ কমাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা মেটাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে মঙ্গলবার নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল বিধায়ক করোনা আক্রান্ত। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বাংলায় করোনার দাপট বেড়েই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২১১। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ১৯৩ জনের শরীরে কোভিড ১৯ মিলেছে। সবমিলিয়ে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৯। বাংলায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮৬ জন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
গোটা বিশ্বে প্রায় করোনা আক্রান্ত ৫,৫৮৯,৬২৬ জন ও প্রাণ গিয়েছে মোট সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা যেহেতু ১৪ দিনের বদলে কমিয়ে ৭ দিন করা হয়েছে তাই যেসব ভারতীয় থাকার জন্য় ১৪ দিনের অগ্রিম টাকা দিয়েছে হোটেলগুলিতে, সেক্ষেত্রে ৭ দিনের টাকা ফেরত দিতে হবে হোটেলগুলিকে, এই মর্মে নির্দেশিকা জারির জন্য় রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৮৫২। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৫২১), উত্তর ২৪ পরগনা (২৮৩), হুগলি (১১০),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৮১)।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'সংকটের এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার-উভয়ই ভাল কাজ করছে। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিভাবে পরিস্থিতি আরও ভালভাবে মোকাবিলা করা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ বলেছে, কেন্দ্র ও রাজ্য়গুলো এ বিষয়ে অবহেলা করেছে। একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা, খাবার, আশ্রয়ের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে।
এ প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'সর্বোচ্চ আদালতের সবসময় এই ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু, দেশের আইমমন্ত্রী হিসাবে এ বিষয়ে আমি কোনওমন্তব্য করব না। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা মেটাতে কী পদক্ষেপ কী পদক্ষেপ হয়েছে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোই তার জবাব দেবে। আমি শুধু বলতে পারি যে, সব রাজ্যই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদি আরও ভাল কোনও বিকল্প থাকে তবে তা গ্হণ করা হবে। তবে, এখনও পর্যন্ত যা করা হয়েছে সেটাই সেরা। আরও ভাল করার সুযোগ থাকলে তা করা হবে।'
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেছেন সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিকল্পিতভাবে ও ধীরেধীরে পাঠানোর ব্যাপারে অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে সবসময়েই যোগাযোগ রেখে চলছিল। এ ব্যাপারে তিনি গত সপ্তাহে আমফান সাইক্লোনের দাপটে দক্ষিণবঙ্গের ভয়াবহ পরিকাঠামোগত ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রেলমন্ত্রককে একদিনে ১৫টির বেশি ট্রেন না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যাঁরা ফিরছেন তাঁদের বাড়িতেই কোয়ারান্টিন করতে চায় সরকার কারণ গ্রামের বাড়ি ও স্কুলগুলি সাইক্লোন ত্রাণ শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুসারে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি ট্রেন নিতে পারি। এ ব্যাপারে অন্যরাজ্যগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্য রাজ্যগুলি থেকে সড়কপথেও মানুষদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। নেপাল ও ভূটান থেকে প্রতিদিন মানুষ এ রাজ্যে আসছেন। কয়েকলক্ষ মানুষ পশ্চিমবঙ্গে এসে গিয়েছেন। ফলে আমাদের উপর চূড়ান্ত চাপ রয়েছে এবং আমরা যতদূর সম্ভব বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছি। পড়ুন বিস্তারিত
আগামী ১ জুন থেকে আদালতের কাজ চালু করা হোক। বুধবার দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে এই আবেদন জানিয়েছে বার কাউন্সিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল বিধায়ক করোনা আক্রান্ত। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। জ্বর নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্টই পজিটিভ আসে।
ডঃ ঝা-য়ের সঙ্গে আলোচনার সময় রাহুল বলেন, "সরকার ইচ্ছে করেই কম পরীক্ষা করছে, যাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বেশি না দেখানো হয়। কারণ, আক্রান্ত বেশি দেখানো হলে একটা ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।" জবাবে ডঃ ঝা বলেন, "যতদূর মনে হয়, আরও বেশি করোনা পরীক্ষার মতো পরিকাঠামো ভারত সরকারের আছে। আমরা মহামারির যুগে প্রবেশ করছি। আগামী দিনে আরও মহামারি আসছে। সুতরাং সরকারের উচিৎ সেইমতো পরিকাঠামো তৈরি করা।"
করোনার প্রতিষেধক কবে মিলবে? বুধবার ভিডিয় বৈঠকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আশিস ঝাকে এই প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহল গান্ধী। জবাবে আশিস ঝা বলেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসী, পরের বছরই করোনার প্রতিষেধক মিলবে।
গত ১০ দিনে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে দেশে ৪৩৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।