দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩ লক্ষ পেরোল। মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৩ হাজার ৪৯৩ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। বর্তমানে দেশে ভাইরাসের আঁতুরঘর মহারাষ্ট্র।
নাইট কার্ফুর সময় যাত্রীবাহী বাস, পণ্য়বাহী যান চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাত ৯টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত দেশে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্য়ে বাইরে বেরোনো নিষেধ। তবে যাত্রীবাহী বাস, পণ্য়বাহী যান চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকছে না বলে শুক্রবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা।
লকডাউনে সম্পূর্ণ বেতন দিতে না পারা বেসরকারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মজুরি সংক্রান্ত বিরোধ- শিল্প সংস্থা ও শ্রমিকদেরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাও জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে, ভারতে প্রত্যেক দিনই একদিকে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা রেকর্ড গড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে কোভিড পজিটিভ ১০,৯৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। করোনায় প্রাণ গিয়েছে মোট ৮,৪৯৮ জনের। আইসিএমআর প্রধান ডাঃ বলরাম ভার্গোব দ্রুত করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে লকডাউন ব্যবস্থাকে “সফল” বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে পৃথিবীর মধ্যে আমেরিকা ও চিন এগিয়ে থাকলেও ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন ইউরোপ এই দৌড়ে অনেক এগিয়ে এবং এবছর শরৎ থেকে শীতকালের মধ্যে প্রথম ডোজ পাওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দু মাসের মধ্যে মানুষের উপর ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু করবে। এর পরেই সংস্থার শেয়ারের দাম ২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে Moderna Inc তাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করেছে ৬০০ জনের মধ্যে।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৬৬৩। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৯৬০), উত্তর ২৪ পরগনা (৮০৩), হুগলি (৪৫৩),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২১৫)।
দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩ লক্ষ পেরোল। মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৩ হাজার ৪৯৩ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। বর্তমানে দেশে ভাইরাসের আঁতুরঘর মহারাষ্ট্র।
নাইট কার্ফুর সময় যাত্রীবাহী বাস, পণ্য়বাহী যান চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাত ৯টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত দেশে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্য়ে বাইরে বেরোনো নিষেধ। তবে যাত্রীবাহী বাস, পণ্য়বাহী যান চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকছে না বলে শুক্রবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা।
লকডাউনের ফলে বাতিল উড়ানের টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরৎ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সমাধানসূত্রে নির্ধারণে কেন্দ্র ও বিমান সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কেন দু'বছরের মধ্যে যাত্রীদের কোনও রুটের ক্রেডিট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না তা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ বিস্ময় প্রকাশ করেছে।
করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহের দেখভাল ঠিকমত হচ্ছে না। এ জন্য় দিল্লি সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অশোক ভূষণ, এস কে কৌল ও এম আর শাহ গোটা পরিস্থিতিতে 'ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ ও অত্যন্ত করুণ' বলে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে রাজধানীতে করোনা রোগীদের পশুদের চেয়েও খারাপভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে মনে করে শীর্ষ আদালত। এদিন বিচারপতিরা জানিয়েছেন, 'দিল্লির অবস্থা এত বাজে যা খুবই দুঃখজনক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা কাঁদছেন, তাঁদের যত্ন করার কেউ নেই। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কারোর মৃ্ত্যু হলে আত্মীয়রা পর্যন্ত খবর পাচ্ছে না। নোরার মধ্যে দেহ পাওয়া যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম এই শোচনীয় পরিস্থিতি তুলে ধরছে। রোগীদের পশুদের চেয়েও খারাপভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে।' দিল্লিতে কেন নমুনা পরীক্ষা কমে গেল? এনিয়ে কেজরিওয়াল সরকার জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি হাসপাতালের শয্যা খালি থাকলেও কেন করোনা রোগীরা বিভিন্ন হাসপাতালে হন্যে হয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি কৌল।
দিল্লিতে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে লকডাউন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে, শুক্রবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, রাজ্যে আর লকডাউন বৃদ্ধি করা হবে না। এদিন করোনা সংক্রান্ত প্রাত্য়হিক ব্রিফিং-এর সময় এ বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। এর আগে লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়ে এতো স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
দিল্লি কর্পোরেশনের দাবি ২,০৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের জবাব, 'কেন মৃত্যু সংক্রান্ত নথি কর্পোরেশনের তরফে পাঠানো হচ্ছে না? মৃতদের নাম, ঠিকানা, বয়স সবকিছু জানা প্রয়োজন।'
কোভিড অ্যাকুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারের অ্যাটেনডেন্টের দ্বারা জুনিয়ার চিকিৎসকের হেনস্থার প্রতিবাদে গত দু'দিন ধরে কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন হায়দ্রাবাদের গান্ধী জেনারেল হাসপাতেলের জুনিয়ার চিকিৎসকরা। শুক্রবার সকালে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তেলেঙ্গানা জুনিয়ার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। তবে, চিকিৎসকদের সুরক্ষায় তেলেঙ্গানা সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রতি পূরণে আগামী ১৫ দিন সময় দিয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। হেনস্থার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লকডাউনে সম্পূর্ণ বেতন দিতে না পারা বেসরকারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মজুরি সংক্রান্ত বিরোধ- শিল্প সংস্থা ও শ্রমিকদেরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাও জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রাজ্যগুলিকেই বিবাদ মেটানোর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্য়গুলো শ্রম কমিশনারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। গত ২৯ মার্চ কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল যে, সব সংস্থাকে লকডাউনে কর্মীদের পূর্ণ বেতন দিতে হবে। এই নির্দেশিকার আইনী বৈধতা কী? তা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রকে জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেসে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে কোভিড পজিটিভ ১০,৯৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। এ দেশে মোট করোনা সংক্রমিত ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন। রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৪। করোনায় প্রাণ গিয়েছে মোট ৮,৪৯৮ জনের।