করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য় করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে এদিন মোদী বলেন, ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্য়া অনেকটাই কম। এদিন, ২১টি রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। নমো বলেন, ''একজন ভারতীয়র মৃত্য়ুও পীড়া দেয়। তবে এটাও সত্য়ি যে, ভারতে মৃতের সংখ্য়া কম''।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৬৭ জন। মঙ্গলবার দেশে মোট করোনাআক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৯০০ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার জন। তবে এখনও আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রতিদিনই উদ্ধব-রাজ্যে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
অন্যদিকে, বাংলায় করোনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার থেকে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪০৭ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৩৪ জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৯৪ জন। বাংলায় করোনায় সুস্থতার হার ৪৭.৭৯ শতাংশ, সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal-Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনার প্রকোপ বিশ্বে এখনও বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আশার কথা শোনা গেল দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার মুখে। আমেরিকার সংস্থা মডার্না এবং চিনের সংস্থা সাইনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড জানিয়েছে তাঁদের পরীক্ষামূলক ট্রায়াল অনেকাংশেই কার্যকর হয়েছে।
সম্প্রতি ভ্যাকসিন প্রস্তুতের প্রক্রিয়া চালাতে এমআরএনএ ভ্যাকসিন ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করেছে। দেখা গিয়েছে সেখানে অন্যকোনও শারীরিক উপসর্গ লক্ষ করা যায়নি। আগামী মাসেই পরবর্তী ট্রায়াল করবে তাঁরা। অন্যদিকে চিনের সংস্থা সাইনোভ্যাক বায়োটেক জানিয়েছে ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করতে প্রস্তুত তাঁরা।
করোনাভাইরাস রুখতে কি কার্যকরী হবে ডেক্সামেথাসন? এমন জল্পনাই এবার মিলল। সম্প্রতি ইংল্য়ান্ডের গবেষকরা দাবি করেছেন, এই ওষুধের প্রয়োগে করোনা রোখা সম্ভব হয়েছে। এই ওষুধ প্রয়োগে সুফল মিলছে বলে দাবি তাঁদের। সস্তা ও সহজলোভ্য় ডেক্সামেথাসন নামের এই ওষুধ করোনা রোগীদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য় করছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি, করোনায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্য়ে এই ওষুধ প্রয়োগে এক তৃতীয়াংশ মৃত্য়ুর ঝুঁকি কমবে।
কবে থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালু করা হবে দেশে, তা আগামী মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরী। উল্লেখ্য়, দেশে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু হলেও বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা।
করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য় করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে এদিন মোদী বলেন, ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্য়া অনেকটাই কম। এদিন, ২১টি রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। নমো বলেন, ''একজন ভারতীয়র মৃত্য়ুও পীড়া দেয়। তবে এটাও সত্য়ি যে, ভারতে মৃতের সংখ্য়া কম''।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় চিন্তায় আপ প্রধান কেজরিওয়াল। টুইটে তিনি লেখেন, "আপনি নিজের স্বাস্থ্যর খেয়াল না করে দিল্লিবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গিয়েছেন সবসময়। আপনার নিজের খেয়াল রাখুন আর তাড়াতারী সুস্থ হয়ে উঠুন।"
রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রর জৈন। সোমবার রাতে জ্বর ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
করোনা প্রকোপ বাড়ছে। তাই তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর, চেঙ্গালপেট, কাঞ্চিপুরম জেলায় আগামী ১৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বিধি জারি হতে চলেছে। সোমবার এই ঘোষনা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বমী। তবে, মুদির দোকান, হোটেল (শুধু পার্সেল নেওয়া যাবে) সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খোলায় ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। লকডাউনে দোকানগুলো ভোর ৬ থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত খোলা থাকবে, সোমবার এই বিধিই জারি হয়েছে। এদিকে আজ করোনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। লকডাউন বাড়ানো হতে পারে কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশের।
লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়ে ১৬ এবং ১৭ তারিখ মোট ২১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ বিকেল ৩টের সময়ে পাঞ্জাব, আসাম, কেরালা, উত্তরাখন্ড, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশ, চন্ডিগড়, গোয়া, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, লাদাখ, পুদুচেরি, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাসের জন্য জারি করা লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে জনমানসে যে আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে, তা হল দ্বিতীয় প্রবাহ। উদ্বেগের বিষয় হল একবার চাপা পড়ার পর এই অতিমারী ফের নতুন শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, যার জেরে সংক্রমণ বাড়বে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ পড়বে, ফের লকডাউন হবে। এশিয়ার বিভিন্ন পকেট ও আমেরিকায় নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এই আশঙ্কা বাড়ছে।
দ্বিতীয় প্রবাহ কী?
এর কোনও নির্দিষ্ট ছক নেই কারণ এটি কোনও বৈজ্ঞানিক টার্ম নয়। একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা চলে যাওয়ার পর আবার নতুন করে যে স্রোত আসে, তাকেই দ্বিতীয় প্রবাহ বলে উল্লেখ করা হয়। যেসব প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে কোনও প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই তার কারণেই অতিমারী সৃষ্টি হয়। এর ফলে তা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্তারিত পড়ুন, কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় প্রবাহ
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) সম্প্রতি দুটি সংস্থার তৈরি করা কোভিড ১৯ পরীক্ষার জন্য তৈরি এলিজা কিট অনুমোদন করেছে। আইসিএমআরের নিজের প্রযুক্তিতে তৈরি এলিজা কিট ছাড়া এই প্রথম অন্য কোনও এলিজা কিট অনুমোদিত হল। এর ফলে কোভিড-১৯ পরীক্ষার পদ্ধতিতে আরও সুযোগ বাড়ল। একবার দেখে নেওয়া যাক কী কী ভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে।
র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট
এ পরীক্ষায় সময় লাগে বড়জোর ২০-৩০ মিনিট। সবচেয়ে সস্তা এই টেস্টে রক্তে অ্যান্টিবডির হদিশ করা হয়। কিন্তু এই পরীক্ষায় ভুল ফলের ঝুঁকি ব্যাপক – এখানে অন্য কোনও সংক্রমণের অ্যান্টিবডি চিহ্নিত হতে পারে এবং তা কোভিড-১৯ সংক্রমণ বলে চিহ্নিত হয়ে যেতে পারে। ফলে জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। যদি কোনও ব্যক্তি র্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে পজিটিভ হন, তাহলে তাঁর চিকিৎসা শুরুর আগে RT-PCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এলিজা বরং এর থেকে বেশি নিখুঁত। আরও কী কী পরীক্ষা হচ্ছে? সবিস্তারে পড়ুন, ভারতে কোভিড-১৯ পরীক্ষা
কয়েক মাস আগে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী যখন ভারতে সবে ছড়াতে শুরু করেছে, তখন সকলেই আশা প্রকাশ করেছেন গ্রীষ্মের সময়ে ভাইরাসের ক্ষমতা কমে যাবে এবং সংক্রমণ কমবে। তা ঘটেনি। এবার বর্ষা শুরু হয়েছে, ভাইরাসের উপর এবং সংক্রমণের উপর বৃষ্টির প্রভাব নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। যেহেতু এটি একটি নতুন ভাইরাস, বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন বৃষ্টির প্রভাব ভাইরাসের উপর কী হবে। ফলে এ ধরনের ভাইরাস বর্ষাকালে কী ধরনের আচরণ করে থাকে একবার দেখে নেওয়া যাক। পড়ুন, বর্ষাকালে করোনাভাইরাসের আচরণ
বাংলায় করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৯৯৩। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৯১৫), উত্তর ২৪ পরগনা (৭৪৩),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৭৬), হুগলি (২৪৭)। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৪৯৪। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য়ে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৫। বিস্তারিত পড়ুন, বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্তের থেকে করোনা-মুক্তের সংখ্যা বেশি