বাংলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য়ে আরও ৪৪৫ জনের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস। এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত রাজ্য়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৭৩। বাংলায় করোনায় অ্য়াক্টিভ কেসের সংখ্য়া ৪ হাজার ৮৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আরও ১১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য়ে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৫৯১, রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য় জানা গিয়েছে।
বাংলায় করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত হারে বাড়ছে সুস্থতার হার। করোনাকে হারিয়ে একদিনে বাংলায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮৪ জন। সবমিলিয়ে বাংলায় এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭০২ জন। রাজ্য়ে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৩.৯৪ শতাংশ, বুধবার রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
একদিনের নিরিখে ভারতে ফের করোনা সংক্রমণের রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড সংক্রমিত ১৫,৯৬৮ জন। ভারতে মোট পজিটিভের সংখ্যা ৪,৫৬,১৮৩ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৫ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৪,৪৭৬। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও দেশে করোনা রোগীর চেয়ে কোভিড-১৯ জয়ীর সংখ্যা বেশি রয়েছে। বর্তমানে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১,৮৩,০২২ জন। সুস্থতার সংখ্যা ২,৫৮,৬৮৫ জন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৯,০১০ জন। অর্থাৎ দেশের মোট আক্রান্তের ৩০.৪৭ শতাংশ এই রাজ্যেই রয়েছে। রাজ্যে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৬,৫৩১ জন। অর্থাৎ দেশের মোট মৃত্যুর ৪৫.১২ শতাংশ এই প্রদেশে হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে।
বাংলায় সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্য়া ১ হাজার ৮৭৭। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৭৩৫),হাওড়া (৬০৩), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩৫৯), হুগলি (১৬৪)।
Web Title:
বাংলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য়ে আরও ৪৪৫ জনের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস। এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত রাজ্য়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৭৩। বাংলায় করোনায় অ্য়াক্টিভ কেসের সংখ্য়া ৪ হাজার ৮৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আরও ১১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য়ে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৫৯১, রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য় জানা গিয়েছে।
বাংলায় করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত হারে বাড়ছে সুস্থতার হার। করোনাকে হারিয়ে একদিনে বাংলায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮৪ জন। সবমিলিয়ে বাংলায় এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭০২ জন। রাজ্য়ে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৩.৯৪ শতাংশ, বুধবার রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে করোনা মহামারীর মধ্যে দিল্লি বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আয়োজন করা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে বম্বে হাইকোর্টে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির বৈঠকে ২২ জুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পরীক্ষাও নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী থাকলে বেঙ্গালুরুতে ফের কঠোর লকডাউন জারি হতে পারে। বুধবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামুলা। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা, করোনা বিশেষজ্ঞ, কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীরামুলা। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ১০৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘খুব খুব কষ্টের। তিনবারের বিধায়ক ও ১৯৯৮ সাল থেকে দলের কোষাধক্ষ পদের দায়িত্বে থাকা তমোনাশ ঘোষ আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। উনি ৩৫ বছরের বেশি সময়ে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, মানুষ ও দলের সেবায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান অতুলনীয়।’
প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তমোনাশ ঘোষ। ২০০১ সালে থেকে প্রথম ফলতা বিধায়ক হন তিনি। তিনবার ফলতার বিধায়ক নির্বাচিত হন তমোনাশবাবু। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তৃণমূলের কোষাধক্ষের দায়িত্ব ছিল তমোনাশ ঘোষের কাঁধেই। পড়ুন বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড সংক্রমিত ১৫,৯৬৮ জন। ভারতে মোট পজিটিভের সংখ্যা ৪,৫৬,১৮৩ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৫ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৪,৪৭৬।