একদিনে সংক্রমণের নিরিখে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের নজির। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ ৭,৪৬৬ জন। চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শেষের দিকে। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হারই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১,৬৫,৭৯৯ জন। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৭১,১০৬। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪,৭০৬ জনের। এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, লকডাউনের পরবর্তী দফা নিয়ে রাজ্যগুলোর থেকে মতামত জানতে চেয়ে সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর ভিত্তিতেই কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। তার আগে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবাও রাজ্যগুলোর মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় বিশেষ আগ্রাধিকার পায়, দেশের ১৩টি শহর। এই শহরগুলোতেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার উর্ধ্বমুখী। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ সংক্রমণের ঘটনা এই শহরগুলোতেই ঘটেছে।
শাসক দলের বিধায়কের পর এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। বাংলায় এক ধাক্কায় করোনার সংক্রমণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যা এরাজ্যে একদিনে সংক্রমণের নিরিখে সর্বাধিক। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩৪৪ জনের শরীরে কোভিড ১৯ ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ২২৩।
পৃথিবীতে ৫৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৩০৮ জনের। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
দেশে প্রতিদিনই ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে। সেই আবহে ‘কেন বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করছে না?’ সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৯। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৫৬৪), উত্তর ২৪ পরগনা (৩৪৫), হুগলি (১১৪), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১০৪)।
আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ। মার্চে, প্রথম দফার লকডাউনে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব পণ্যের দোকান, কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছিল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রকাশ্যে মানুষের চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পর্যায়ক্রমে অবশ্য শিথিল হয় বিধি-নিষেধ। পঞ্চম দফায় লকডাউন বিধি কেমন হতে পারে? উড়ান-ট্রেন পরিষেবায় সম্পূর্ণ ছাড় মিলবে? শুরু হবে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা? দোকান, বাজার মল খোলায় কি বিধি জারি হতে পারে? জিম, সিনেমা হল, ধর্মীয় স্থান, সালোন ফের চালু হবে? কবে থেকে স্কুলে পঠনপাঠন চালু হবে? তারই আগাম আভাস মিলেছে... পড়ুন বিস্তারিত
করোনা অতিমারীর জন্য সারা পৃথিবীতে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সমস্ত সার্জারি আটকে রয়েছে। আমেরিকায় জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক নতুন গবেষণায় দেখিয়েছেন, সাত থেকে ষোল মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বকেয়া অর্থোপেডিক সার্জারির কাজ শেষ করতে। এর মধ্যে লক্ষ লক্ষ মেরুদণ্ড, হাঁটু ও হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি রয়েছে।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ বোন অ্যান্ড জয়েন্ট সার্জারি-তে। মূল লেখক ডক্টর অমিত জৈন জানিয়েছেন, অর্থোপেডিক সার্জারির মত ক্ষেত্রে, যেখানে ইনপেশেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা প্রয়োজন, সেখানে বকেয়া কাজ নিষ্পন্ন করার কাজ আউটপেশেন্ট ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় সার্জারির চেয়ে ধীর গতিতে হবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা ১০০ শতাংশ ক্ষমতা অনুসারে কাজ করছি, ততদিন ব্যাকলগ বাড়তে থাকবে।” পড়ুন বিস্তারিত
আমফানের পরে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে বাংলায় ফিরছেন। ফলে প্রত্যেকের উপর নজরদারি কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। তাই শ্রমিক স্পেশালে বাংলায় ফেরৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষা ও নজরদারি-বিধি বদল করল নবান্ন। আমফানের আগে, ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় আগত পরিযায়ী ও অন্যান্যদের প্রত্যেককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছিল। সেখানেই তাদের খাবার দিচ্ছিল মমতা প্রসাসন। কিন্তু, বুধবার সেই বিধির বদল করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সংশোধিত বিধি অনুসারে, রাজ্যে ফেরৎ আসাদের এখন থেকে অন্য ধারায় শারীরিক পরীক্ষা হবে। এক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টিনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউন শিথিল হয়েছে, একই সঙ্গে পরিযায়ীরা ঘরে ফিরছেন। গত কয়েকদিনে ভারতে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, রাজ্যভিত্তিক বিশ্লেষণমূলক পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়েছে যে, দেশে মোটা করোনা আক্রান্তের মধ্যে অতি সংকটজনক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, তামিনলাড়ুর মতো যেসব রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি, সেখানেও এই প্রবণতা ধরা পড়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ে পরিযায়ীরা ফেরায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনের নিরিখে বেড়েছ। কিন্তু, সেই তুলনায় অতি সংকটজনক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। পড়ুন বিস্তারিত
পরিযায়ীদের বাংলায় ফেরাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের তরজা অব্যাহত। পরিযায়ীদের ঘরে ফেরা শুরু হতেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। যা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, 'বিশ্বব্যাপী মহামারীর প্রেক্ষাপটে নিজেদের বাড়ি ফিরে আসলে তাঁদের উষ্ণ আমন্ত্রণ প্রাপ্য। তাঁদেরকে কোভিড সংক্রমনকারী হিসেবে দেগে দেওয়া অন্যায়, অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক এবং হৃদয়বিদারক।' কারোর নাম না উল্লেখ করলেও আসলে এই টুইটে মমতা সরকারের প্রতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সরকারি আধিকারিক করোনা পজিটিভ। সেই কারণে সংসদের অ্যানেক্স ভবনের দুটি তলা সিল করে দেওয়া হল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
শাসক দলের বিধায়কের পর এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতেই মন্ত্রীর দেহে করোনার জীবাণু রয়েছে বলে লালারসের নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। আপাতত হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন মন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারিকা করোনা আক্রান্ত হন। এরপর নির্দিষ্ট বিধি মেনে মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সবার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবারই সেই পরীক্ষার রিপোর্ট মেলে। রিপোর্টে দেখা যায়, রাজ্যের প্রভাবশালী ওই মন্ত্রী সহ তাঁর পরিবার অন্য দুই সদস্যও কোভিড পজিটিভ। তবে মন্ত্রীর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গই ধরা পড়েনি। আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিনে দিনে মন্ত্রীর সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাঁদেরও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে খোঁজ করা হচ্ছে। পড়ুন বিস্তারিত
স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১,৬৫,৭৯৯ জন। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৭১,১০৬। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪,৭০৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের।