জ্বরে আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর নমুনা পরীক্ষা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিনি। দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা। এই নিয়ে টানা পঞ্চম দিন ভারতে সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটল ৯ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯,৯৮৩ জন। মোট পজিটিভ ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১১ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমান অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ০৯৪ জন। এ দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণ গিয়েছে মোট ৭,১৩৫ জনের। ভারতে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এ রাজ্যে সংক্রমিত ৮৫,৯৭৫ জন। আক্রান্তের বিচারে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যই চিনকে (৮৪,১৯১ জন) ছাপিয়ে গিয়েছে। করোনার বৃদ্ধির এই বাজড়বাড়ন্তের মধ্যেই দেশজুড়ে পুরোদস্তুর কার্যকর আনলক ১.০ পর্ব। খুলেছে ধর্মীয় স্থান, রেস্তোরাঁ, শপিং মল। তবে, এই সব জায়গায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে লকডাউন শিথিলের কথা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
বাংলাতেও করোনার রমরমা। তারই মধ্যে দোকান, বাজার, ধর্মস্থান আগেই খুলেছিল। আজ, সোমবার থেকে শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়ে বহু সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হয়েছে। ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলেছে সরকারি অফিস। সরকারি দফতরে মাস্ক ব্য়বহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি বেসরকারি অফিসকেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন থেকেই আরো বেশি সংখ্যায় বাস, মিনিবাস রাস্তায় নামনোর আশ্বাস দিয়েছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলো। ফলে যান দুর্ভোগ কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ১৮৭ জন।
গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৭ লক্ষ, মৃত চার লাখ। স্পেনকে পিছনে ফেলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যায় এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাংলায় ৯ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার ৪০.৩৪ শতাংশ।
দিল্লির উপরাজ্য়পালের সঙ্গে আপ সরকারের ফের সংঘাতের আবহ। করোনা চিকিত্সা নিয়ে কেজরি সরকারের সিদ্ধান্তকে কার্যত নাকচ করলেন উপ রাজ্য়পাল অনিল বাাইজল। দিল্লিবাসী নন, এমন কোভিড আক্রান্তেরও চিকিত্সা করতে হবে বলে সোমবার নির্দেশ দিলেন উপরাজ্য়পাল।
এ প্রসঙ্গে টুইটারে অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, ''উপরাজ্য়পালের নির্দেশিকা দিল্লিবাসীর কাছে চ্য়ালেঞ্জের মতো। দেশের সব রোগীর চিকিত্সা করলে অনেক সমস্য়ার মুখোমুখি হতে হবে...''।
করোনা মোকাবিলায় যোগী সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের ডন সংবাদপত্রের সম্পাদক। যেভাবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ডনের সম্পাদক ফাহদ হুসেন। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় পাকিস্তানের ব্য়র্থতা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় আজ মধ্য়রাত থেকে ২ সপ্তাহের জন্য় ফের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি মিজোরামে।
ওড়িশায় করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগামী ৩০ জন পর্যন্ত রাজ্যে শপিং মল, হোটেল, রেস্তারাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবীন পট্টনায়েক সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, হোটেল বা রেস্তোরাঁ থেকে খাবারের হোম ডেলিভারিতে ছাড় রয়েছে।
জ্বরে আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর নমুনা পরীক্ষা হতে পারে। আপের মুখপাত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই খবর জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিয়ম-বিধি শিথিল হতেই মুম্বইয়ের রাস্তায় গাড়ির সারি। শহরে বিভিন্ন জায়গায় জ্যামজট শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে।
খুলে দেওয়া হল দিল্লির সীমানা। ফলে আন্তঃরাজ্য যান চলাচলে আর কোনও সমস্যা রইল না। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ গত সপ্তাহেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লির সীমানা। তবে, ছাড় ছিল অত্যাবশ্যকয়ীয় পণ্য পরিবহণে।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯,৯৮৩ জন। মোট পজিটিভ ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১১ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমান অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮১। সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ০৯৪ জন। এ দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণ গিয়েছে মোট ৭,১৩৫ জনের।
কলকাতার সেন্ট টেরেসা চার্চে পরিস্কারের কাজ চলছে।
সামাজিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে দিল্লির মন্দিরের মেঝেতে গণ্ডি আঁকতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর জীবাণু মুক্তকরণ আবশ্যিক। ভক্তরা বিগ্রহে ফুল-মালা দিতে পারবেন না। গাইডলাইনে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। জামা মসজিদের ইমাম বুখারি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'মসজিদের মধ্যেকার জলাশয়টি বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে অজু করা যাবে না। বাড়ি থেকেই ভক্তদের অজু করে আসতে হবে। নমাজ পাঠের সময় যে আসন থাকে তাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কেউ বাড়ি তেকে তা আমতে পারেন। সামাজিক দূরত্ব নীতি মেনেই প্রার্থনা করা হবে।'
লকডাউন শিথিল হতেই আজ থেকে খুলেছে ধর্মীয় স্থান। এদিন সকালেই গোরক্ষনাথ মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।