যেভাবে দেশে বাড়ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের দাপট, সেখানে স্বস্তিতে নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীও। করোনা সংক্রমণ আটকাতে গৃহবন্দি হয়েছে দেশ। কিন্তু প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফেরেন্সে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণস্থল চিহিন্ত করতে হবে। যারা এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন, চিহ্নিত করতে হবে তাঁদেরকেও। পরবর্তীতে পরীক্ষা, আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে তাঁদের।"
প্রসঙ্গত, গত চব্বিশ ঘন্টায় ১২টি মৃত্যু দেখেছে দেশ। মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫০। আক্রান্তের সংখ্যা দু'হাজার ছুঁইছুঁই। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সারেন নরেন্দ্র মোদী।
লকডাউনের আবহে সব রাজ্যেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের মানুষ। মৃত্যু সংখ্যা সেখানেই সবচেয়ে বেশি। মোদীর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। লকডাউনের এক সপ্তাহ পড়েও পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যের সরকারকে। এমনকী প্রাথমিক ত্রাণের জন্য মোদী সরকারের কাছে আর্জি জানানোর কথাও ছিল রাজ্যগুলির।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ছুঁল ৫০, মোদী সরকারকে নিশানা সোনিয়ার
এদিকে, নয়াদিল্লিতে নিজামউদ্দিন তবলিঘি জমায়েতে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। করোনাভাইরাসের আবহে দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। এই জমায়েতে অংশ নেওয়া অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, মিজোরাম, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, তামিলনাড়ুতে করোনাভাইরাসের ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গিয়েছে জমায়েতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। গুজরাট, হরিয়ানা এবং রাজস্থান থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর।
Read the full story in English