করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। গত সোমবারই দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ হয়েছিল প্রথমবার। বুধবার সব রেকর্ড ভেঙে দিল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত ১,১৫,৭৩৬ জন। অতিমারী পর্বে এটাই একদিনে সর্বাধিক দেশে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই সংক্রমিত ৫৫,৪৬৯ জন। অন্যদিকে, তার পরেই রয়েছে ছত্তিশগড়। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৯৯২১ জন। কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজার ছাড়াল।
এই পরিসংখ্যানের জেরে, ভারতে এখন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হল ৮.৪৩ লক্ষেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। তার মধ্যে অর্ধেক হল মহারাষ্ট্রে। পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকেও মৃত্যু অনেক বেশি। এদিকে, করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় মহারাষ্ট্র, দিল্লির পর এবার পাঞ্জাবও নাইট কার্ফুর পথে হাঁটল। রাজধানী চণ্ডীগড়ে আজ, বুধবার থেকে নাইট কার্ফু জারি হল। রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই নাইট কার্ফু।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখে পৌঁছনোর ঘটনায় মঙ্গলবার চরম আশঙ্কা প্রকাশ করলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আগামী ৪ সপ্তাহে মারাত্মক আকার ধারণ করতে বলে আভাস দিয়েছে কেন্দ্র। তাই যাঁদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন এখন শুধুমাত্র তাঁদেরই টিকাকরণের কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘‘দেশে অতিমারি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। সংক্রমণ আরও বাড়ছে। জনসংখ্যার বড় অংশের এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ প্রথম দফার তুলনায় এবার সংক্রমণের গতি আরও দ্রুত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক পল। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিমারীর তীব্রতা বাড়ছে। দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মোটের উপর দেশজুড়েই এই পরিস্থিতি।’’