করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ প্রথম পর্যায়েরও সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে সোমবার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬৮,৯১২ জন। মারা গিয়েছেন ৯০২ জন। এই মৃত্যু হারের বৃদ্ধিই এখন দেশের জন্য চিন্তার হয়ে উঠছে।
পাল্লা দিয়ে ভারতে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। দেশে করোনা আক্রন্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এখন ১২ লক্ষ ১ হাজার ৯ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে ১০ রাজ্যের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার লকডাউনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ে ক্রমশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলির অবস্থাও তথৈবচ। অক্সিজেনের সরবরাহও কমেছে। সেই প্রেক্ষাপটে তরল অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করছে মহারাষ্ট্র সরকার।
রবিবাই মহারাষ্ট্রে লকডাউন করা হবে কি না সেই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন উদ্ধব ঠাকরে এবং টাস্ক ফোর্সের কর্তারা, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসক। সূত্রের খবর উদ্ধব ঠাকরে ৮ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের জন্য সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু টাস্ক ফোর্সের কর্তারা জানান যে লকডাউন হলে তা ১৪ দিনের জন্য হওয়া উচিত। মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এদিন ৬৩ হাজার ২৯৪। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের।
এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও ভয়াবহ। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪হাজার ৩৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা দুই জেলাতেই সংক্রামিত হাজার পার। কলকাতাতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১০৯ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় সংখ্যাটা ১ হাজার ৪৭ জন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন