ভারতে কিছুটা হলেও স্তিমিত হয়ে এসেছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট। কিন্তু এবার মোদী সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে দেশের উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে ৭৩টি জেলার মধ্যে ৪৫টি জেলায় গত এক সপ্তাহে কোভিড-১৯ -এর দাপট বেড়েছে মারাত্মকভাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতের ৭৩ টি জেলায় ১০ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট বৃদ্ধির খবর পাওয়া গিয়েছে। মোট সংক্রমণের হারের ৬১টি শতাংশ উত্তর-পূর্ব রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, সিকিম, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরাম থেকে আসছে।
কোভিড আক্রান্তের পরিসংখ্যান যদি দেখা যায়, তাহলে মণিপুরে (৫৯৭৪) সর্বাধিক অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এরপর রয়েছে মেঘালয় (৪,৩৫৪), ত্রিপুরা (৩,৯৬২), মিজোরাম (৩,৭৩০), সিকিম (১,৮৬৯) এবং নাগাল্যান্ড (১১৯২)।
কোভিড -১৯ টাস্কফোর্সের সদস্য এবং আইসিএমআরের ডিরেক্টর ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেছেন, বর্তমানে উত্তরপূর্বের এই কোভিড বাড়বাড়ন্ত নয়া উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে দেশে। কেন এমন দাপট বাড়ল এই সকল রাজ্যে তাঁর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। জেলা-পর্যায়ে সংক্রমণের হারের উপর কড়া নজরদারি শুরুর কথাও বলেছেন তিনি।
শুধু তাই নয় প্রয়োজনে মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন তৈরি করার পরামর্শও দেন। ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেন, "উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য আমি একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাই, তা হ'ল করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু পজিটিভিটি রেটের উপর লক্ষ্য রাখাঁ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় তরঙ্গে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি সাহায্য করেছিল - যদি (পজিটিভিটি হার) দশ শতাংশের বাইরে চলে যায়, তবে তাদেরকে মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে।"
উত্তর পূর্বের রাজ্যে জন্য আইসিএমআর ডিরেক্টর বলেন, "পরীক্ষার পজিটিভিটি রেট পাঁচ শতাংশেরও কম যদি হয়, তবে এটি একটি ভাল লক্ষণ। সেক্ষেত্রে প্রশাসন বিধিনিষেধকে কমিয়ে আনতে পারে। তবে যদি পরীক্ষার ইতিবাচক হার ১০ শতাংশের বেশি হয়, তবে আমাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা দরকার। কারণ ভাইরাস এখনও চারপাশে লুকিয়ে রয়েছে এবং আমরা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছি এখনও।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন