গত ২৪ ঘন্টায় দেশে সংক্রমণে রেকর্ড তৈরি করল করোনা ভাইরাস। এক দিনে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৭৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। মোট মৃত্যু সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ০৫১।
এদিকে এই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শনিবার তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, পাঞ্জাব, জম্মু কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকাগুলি দেওয়া হয়েছে তা হল, হটস্পট সনাক্ত করা, মিউটেন্ট স্ট্রেনগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা, টিকাগ্রহণে অগ্রাধিকার দেওয়া, আরটি-পিসিআর টেস্ট আরও বৃদ্ধি করা, ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্টের উপর ফোকাস, জেলাগুলিতে কঠোর নজরদারি, সামগ্রিক পরীক্ষা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
১ মার্চ থেকে বয়স্কদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনায় মৃত্যুহার কমাতে ষাটোর্ধ্ব এবং যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি, কিন্তু দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন, তাঁদেরও এই দফায় প্রতিষেধকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু টিকাকরণের পরও যেভাবে বেড়েছে করোনা দাপট তা চিন্তা বৃদ্ধি করছে বিশেষজ্ঞ মহলে।
ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির সিইও আর এস শর্মা বলেন যে এই টিকাদানের লক্ষ্য হল পরবর্তী পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে ২ কোটি ভারতীয়কে রক্ষা করা। এদিকে ভারতে করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়ে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, তাতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (সেকেন্ড ওয়েভ) আছড়ে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন