ভারতে ভয়ঙ্করহারে ছড়াচ্ছে করোনা। রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনার গ্রাফ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের বেশি। দেশে দৈনিক সংক্রমিত ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন। যা গতদিনের তুলনায় সাড়ে সাত হাজার বেশি। উদ্বেগ বাড়িয়ে কমছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯০ হাজার ৫৮৪ জন। বর্তমানে ভারতে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮ হাজার, ০৮৭ জন। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গতদিন করোনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৯৪ জন, এদিন সেই সংখ্যা ৮৩৯।
বাড়তে বাড়তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ কোটি, ৩৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০৫ জনে। করোনাকে জয় করেছেন মোট ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ৬৯ হহাজার ২৭৫ জনের।
দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১০ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৪৭।
ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে ব্যাপকহারে। ভায়বহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ দেশের একাধিক রাজ্যের। এই পরিস্থিতিতে করোনার গতি রুখতে শনিবার একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেছে দিল্লি সরকার। সরকারের এই নির্দেশিকায় জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছাড়াও রেস্তোরাঁ, থিয়েটার, গণ পরিবহণ ও বিয়ে, শেষকৃত্যর অনুষ্ঠানে জনসমাগমের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।এই বিধি আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। লাগু রয়েছে, রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফুর ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লিতে সমস্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, খেলা, বিনোদন, পড়াশোনা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাই গ্রেড ১ অফিসার ছাড়া সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে।
সংক্রমণ বাড়ায় মহারাষ্ট্রে কী ফের লকডাউন জারি হবে? গতকালই একপ্রশ্থ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে জোট সরকার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোণমা মতো আজ থেকে চারদিনব্যাপী 'টিকা উৎসব' শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী টিকারকরণে জোর দিতেই এই কর্মসূচি। এই উপলক্ষে এদিন প্ধানমন্ত্রী টুইটে জানান, 'চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে, যাঁদের টিকা প্রয়োজন তাঁদের সহায়তা করুন, যাঁরা চিকিৎসাধীন তাঁদের সাহায্য করতে হবে।মাস্ক পড়ুন ও পড়তে উৎসাহিত করুন। ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন গড়ে তুলুন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন