বিলিতি নয়, ভারতীয় স্ট্রেনেই বাড়ছে বিপদ! আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি

বিশেষজ্ঞরা জানান যে ভারতে যত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার মাত্র এক শতাংশ সিকোয়েন্স করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান যে ভারতে যত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার মাত্র এক শতাংশ সিকোয়েন্স করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা প্রাদুর্ভাব কেবল যে বিলিতি স্ট্রেনে হয়েছে তা নয়। বরং ভারতে ভোল বদলেছে করোনার প্যাথোজেন। এই নতুন স্ট্রেনের শক্তি অনেক বেশি। সেই কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্য এত বেশি। গবেষকরা বলছেন, N440K ভ্যারিয়েন্টের জেরে এই হারে সংক্রমণ। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা ১০ গুণ বেশি এমনটাও জানান হয়েছে।

Advertisment

উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতে এই N440K ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর আগে এটা ছিল ৪.৯ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে তা দাঁড়ায় ৮.৮২ শতাংশে। অন্যদিকে, বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট ভারতের কয়েকটি রাজ্যে অনেক বেশি সংখ্যায় পাওয়া গেছে। ভারতে কোভিডের ডাবল মিউট্যান্ট-এর কারণে সংক্রমণের প্রাবল্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, একটি ভাইরাসের মধ্যে যখন দুই ধরণের পরিবর্তন একত্রে মিলিত হয়, তখন সেটিকে ডাবল মিউট্যান্ট বলা হয়।

ভারতে ১৩ হাজার নমুনা সিকোয়েন্স করে আটটি রাজ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি নমুনায় উদ্বেগজনক ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে। যার সঙ্গে ব্রিটিশ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল মিউটেশনের কোন সম্পর্ক নেই।

Advertisment

অন্যদিকে, ১০ গুণ তেজি N440K ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে। তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের কিছু অংশেই এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। খুব কম সময়ের মধ্যে বৃহৎ সংখ্যার মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির।

বিশেষজ্ঞরা জানান যে ভারতে যত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার মাত্র এক শতাংশ সিকোয়েন্স করা হয়। অন্যদিকে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সময়ে ব্রিটেনে সিকোয়েন্স করা হয় ৫-৬ শতাংশ। এর ফলেই রোগের কারণ এবং রোগীদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ - এ দুটো বিষয়ের মধ্যে পুরোপুরি সম্পর্ক নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19