Advertisment

লকডাউনে যাতায়াত করলেই ১৪দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, নির্দেশ কেন্দ্রের

লকডাউনে প্রবল সমস্যায় পরিযায়ী শ্রমিকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনে হেঁটেই গ্রামমুখী হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। এইসময় যেসব পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে বাড়ি ফিরছেন তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বললো কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লকডাউন ভেঙে যারা পথে চলছেন তাদের আবশ্যিকভাবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন থাকতে হবে। রাজ্য সরকারগুলিকেই সম্পূর্ণ তথ্য রাখতে হবে।

Advertisment

পরিযায়ী শ্রমিকরা যে যেখানে রয়েছেন সেখানেই তাদের থাকার বন্দ্যোবস্ত করতেও রাজ্যগুলিকে আবেদন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এছাড়া শ্রমিক বা পড়ুয়াদের জোর করে বাড়িওয়ালা ঘর ছাড়তে বাধ্য করলে আইনি পদক্ষেপ করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাডা়, লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিক বা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের যাতে মজুরি কাটা না হয়- রাজ্যগুলিকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মদ না মেলায় লকডাউনে পাঁচজনের আত্মহত্যা

শনিবার রাতেই লকডাউন ভেঙে বাড়ি ফিরতে চেয়ে গাজিয়াবাদ বাস স্ট্যান্ডে কয়েক হাজার পরিয়ায়ী শ্রমিক ভিড় জমিয়েছিল। প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি হয় কেন্দ্র। তারপরই মোদী সরকারের এই দৃঢ় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছ।

লকডাউনে বন্ধ সবকিছু। কাজ না থাকায় মজুরিও জোটেনি। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। কিন্তু, বাস্তব সম্পূর্ণ উল্টো। খাবার, থাকার জায়গা না পেয়ে দিশাহারা পরিযায়ীরা। কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে পুরো বিষয়টিতেই মানবিক পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। বিপর্য মোকাবিলা আইনের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাকে কঠোর পদক্ষেপ হিসাবেই এদিন মন কি বাতে বর্ণনা করলেন তিনি। এমন কঠোর পদক্ষেপের জন্য ক্ষমাও চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘আমি জানি এই লকডাউনের ফলে মানুষের অনেক সমস্যা-দুর্ভোগ হচ্ছে। তার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

Read the full story in English

coronavirus
Advertisment