Advertisment

২১ দিনের লকডাউন শেষে কীভাবে এগোবে ভারত, চলছে পরিকল্পনা

লকডাউনের অর্ধেক সময়ে এসে পৌঁছেছি আমরা। কীভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ, ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে পর্যায়ক্রমে পুনরুদ্ধার করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি বিকল্প তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ২১ দিনের লকডাউনে গিয়েছে দেশ। সামাজিক দূরত্ব মানার পাশাপাশি বন্ধ হয়েছে দোকান, বাজার। সেই লকডাউনের অর্ধেক সময়ে এসে পৌঁছেছি আমরা। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এবার লকডাউন পরবর্তী পরিকল্পনা করার জন্য রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কীভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ, ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে পর্যায়ক্রমে পুনরুদ্ধার করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি বিকল্প তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে।

Advertisment

"ভারতের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি সাধারণ পরিকল্পনা"

নিউ দিল্লির বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে আগামী দিনে ভারতকে পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, "আগামী ১৪ এপ্রিল যখন লকডাউন শেষ হবে তখন কীভাবে এগোবে ভারত তার একটি কমন পরিকল্পনা যেন গ্রহণ করা হয়, যাতে তা বাস্তবায়িত করা যায়।" প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে আগামী কয়েক সপ্তাহে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খুঁজতে হবে করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল। কারণ আগামী দু'সপ্তাহে আরও বাড়তে পারে করোনার দাপট।

"সীমিত লকডাউন"

তবে এরই মধ্যে অনেক জায়গাতে "সীমিত লকডাউন" রেখেছে মোদী সরকার। হয়তো এভাবেই আগামীতে এগোতে পারে ভারত, কিন্তু করোনা ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি এবং সংক্রমণের ধারা বুঝেই এগোবে সরকার, এমনটাই মনে করছে একাংশ। যতক্ষণ না সংক্রমণ শূন্যে আসছে ততক্ষণ রাখা হতে পারে লকডাউন, এমন ভাবনাও রয়েছে সরকারের অন্দরে।

"পর্যায়ভিত্তিক রেল চালুর পরিকল্পনা"

লকডাউন পরবর্তী সময় যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে পরিকল্পনা রেলের। ১৪ এপ্রিলের পর পর্যায়ভিত্তিকভাবে কতটা করে ট্রেন চালানো সম্ভব? রেলের জোনাল অফিসগুলিকে সেই মর্মেই মন্ত্রকে পরিকল্পনা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, ট্রেন চালানোর বিষয়টি নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় নির্দেশের উপরই।

publive-image

জোনে কর্মরতদের তরফে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ মিলেছে। কতটা গেজে ট্রেন চালানো জোনালগুলির পক্ষে সম্ভব তা জানাতে বলা হয়েছে। জোনালগুলি যদি স্বাভাবিক পরিষেবার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ ট্রেন চালাতে সক্ষম হয় তবে কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন কৌশলের উপর তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

"১৪ তারিখের পরেই দেশের মধ্যে চালু হবে বিমান পরিষেবা"

দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। পুরোপুরি বন্ধ বিমান এবং রেল পরিষেবা। ইতিমধ্যে ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র জানাল ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউনের মেয়াদ আর না বাড়ানো হলে তারপর থেকে বিভিন্ন বিমান সংস্থা দেশের মধ্যে বিমানের টিকিট বুক করা শুরু করতে পারবে। শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। কেন্দ্রের এই মন্তব্যের পর প্রাইভেট বিমান সংস্থাগুলি ডোমেস্টিক ফ্লাইট ও ভারতীয় রেল ১৫ এপ্রিল থেকে টিকিট বুকিং নেওয়া শুরু করে দিয়েছে ৷

Read the full story in English

coronavirus
Advertisment