ক্রমশই করোনা প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত চিনের মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১১ জন। এহেন পরিস্থিতিতে পড়শি দেশ চিনেকে সবরকমের সহায়তার আশ্বাস দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত মাসে হওয়া এই করোনা প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথমবারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মোদী। চিনের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এই মহামারীর বিষয়টি নিয়ে শোকপ্রকাশও করেছেন নমো।
Advertisment
সূত্রের খবর, করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ভারতের পক্ষ থেকে সব রকমের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিনের সরকারের প্রশংসা করেন মোদী। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এপ্রিল মাসে উহানেই একটি সম্মেলনে বৈঠক করেন মোদী এবং শি জিনপিং।
এদিকে করোনা ভাইরাসের থাবায় ক্রমশই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চিন জুড়ে। সরকার প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে শনিবার মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৮৯-তে। যা এখনও পর্যন্ত এক দিনের মৃত্যুর হিসেবকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭,১৯৮। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে করোনাভাইরাসের সংখ্যা ২০০২-০৩ সালে দক্ষিণ চীন থেকে শুরু হওয়া সার্সের প্রাণহানির সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০০২-০৩ সালে চিনে সার্সে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। কিন্তু, করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা ১৭-১৮ বছরের আগের সেই মহামারির থেকেও ভয়ঙ্কর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে এখনও পর্যন্ত চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮১১।
পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে চিন যদি চায় সেক্ষেত্রে ভারত সরকার প্রস্তুত চিনকে সবরকমের সাহায্য করতে। সূত্রের খবর যে ওষুধ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য খ্যাত ভারত এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিনকে সাহায্য করতে "ভাল অবস্থানে রয়েছে"। শুক্রবার ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডংয়ের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এই প্রস্তাব দেন।
উল্লেখ্য, এ মাসের শুরুতেই করোনা আতঙ্কে দুটি বিশেষ এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে হুবেই প্রদেশ এবং রাজধানী উহান থেকে ৬৪৭ জন ভারতীয় এবং সাতজন মালদ্বীপের নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনে ভারত। এমনকি চিন ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞাও জারি করে ভারত সরকার।