উহান থেকে সৃষ্ট করোনার রূপ বদলেছে বহুবার। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে মিউটেশন। যেহেতু এই ভাইরাস RNA প্রকৃতির তাই একাধিকবার নিজের চরিত্র-কাঠামো বদলেছে করোনা ভাইরাস। অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমক চরিত্র বেড়েছে। ঠিক যেমনটা হয়েছে ব্রিটেনের করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে।
বিলিতি ভাইরাসের জের এতটাই যে, ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশ আক্রান্ত হতে শুরু করেছে এই নয়া স্ট্রেনে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। তা হল বিধি নিষেধ উঠে যাওয়া। মাস্ক ব্যবহার থেকে, স্যানিটাইজেশন, লকডাউন সব নিয়মেই এসেছে শিথীলতা। ব্রিটেনের পরিস্থিতি যেমন ক্রমশই খারাপের দিকে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থাও শোচনীয়। সেখানে প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
নতুন এই স্ট্রেন ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ওমান থেকে জামাইকা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ টি দেশে পাওয়া গেছে। তবে সমস্যাটি কতটা খারাপ হতে পারে সে সম্পর্কে খুব কম ধারণা রয়েছে। এক বছরের সতর্কতা থাকতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলের মতো দেশ করোনা হানায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। ডেনমার্ক, যা জেনেটিক নজরদারি করার কথা বলেছে। একাধিক ডেনিশ অঞ্চলে ব্রিটেনকে ক্ষতিগ্রস্থকারী বৈকল্পিক আবিষ্কার করেছে এবং সম্প্রতি কঠোর বিধিনিষেধ তৈরি করেছে।
শুধু ভ্যাকসিনের পক্ষে এই সংক্রমক রোখা সম্ভব হবে না। এর মধ্যেই অনেক দেশ ট্র্যাকিং এবং ট্রেসিং ছেড়ে দিয়েছে। যদিও এখনও জমায়েত, সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু অগ্রাহ্য করেই চলছে সব কাজ। তবে সচেতন না হলে কী হতে পারে তা ২০২০ সালে দেখেছে বিশ্ব।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন