এই মুহুর্তে চিনে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে যে একটাই নাম, তা হল করোনাভাইরাস। সেই হানায় ক্রমশই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬। শনিবারে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৮৭, রবিবার সকালেই সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯৭৫-এ। ইতিমধ্যেই চিনের গণ্ডি ছাড়িয়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া নেপাল, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও। ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে বিভিন্ন শহরকে কার্যত ‘বন্দি’ করেছে চিন।
এদিকে, এই পরিস্থিতিতে রোগের উৎসস্থল উহান শহরে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চিনের কাছে অনুরোধ জানাল ভারত সরকার। উহানে আটকে থাকা ২৫০ জন ভারতীয় পড়ুয়াদের বিশেষ বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর হয়েছে মোদী সরকারও। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মার্কিন নাগরিকদের উহান থেকে সরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রক। করোনা প্রাদুর্ভাবের হাত থেকে মার্কিন কর্মীদের রক্ষা করতে একটি সীমিত সংখ্যক আসনের বেসরকারি বিমানে করে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার।
মনে করা হচ্ছে উহান প্রদেশের সি-ফুড এবং মাছ-মাংসের বাজার এই ভাইরাসের উৎসস্থল। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের বাজার, সুপারমার্কেট, রেস্তোঁরা এবং ই-বাণিজ্য প্ল্যাটফর্মে বন্যপ্রাণ ব্যবসা নিষিদ্ধ করল চিন। রবিবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মন্ত্রী মা জিয়াওই বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে ইতিমধ্যেই। এমনকি করোনাভাইরাস চিনের মূল ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হল হংকংয়ের দুটি বৃহত্তম আকর্ষণ ডিজনিল্যান্ড এবং ওশেন পার্ক।
Read the full story in English