ভারতে এখনও উর্ধ্বমুখী কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। এবার সেই আবহে দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করল কেন্দ্র। এদিকে দেশে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল বারো হাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৭৫৯। মৃত বেড়ে হয়েছে ৪২০। তবে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৫১৫ জন। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের উপর।
এদিকে মহারাষ্ট্রের এই পরিস্থিতির মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে, এ খবর প্রকাশের অভিযোগে এক মারাঠি সাংবাদিককে বুধবার গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। উল্লেখ্য, লকডাউন ভেঙে ঘরে ফেরার দাবিতে মঙ্গলবার বান্দ্রায় ভিড় করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দ্রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জমায়েতের ঘটনায় ৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্য়েই বাংলায় সব জুটমিল ও ইটভাটা খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, ”রাজ্য়ের সব জুটমিলে কাজ শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে লাগানো হবে”। একইভাবে বাংলায় ইটভাটা খোলার কথা বলেছেন মমতা। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩২। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭। সবমিলিয়ে মোট ৪২ জনকে ছাড়া হয়েছে বলে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
লকডাউনে আগামী ২০ তারিখ থেকে কিছুটা ছাড় মিলবে। বিশেষ করে হটস্পট বা হটস্পট হতে পারে এমন এলাকা ছাড়া পণ্য পরিবহণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যোগান নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ, পণ্য পরিষেবায় ব্যবহার করা ট্রেন, লরি ও অন্যান্য মাধ্যমকে আটকানো হবে না। এই পরিষেবায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাঠানো যেতে পারে। ফলে হাইওয়েতে ধাবা, ট্রাক-লরি মেরামতির দোকানও খোলা থাকবে।
করোনাভাইরাসের দাপটে গৃহবন্দি দেশে এবার আংশিক শিথিল হতে চলেছে লকডাউনের নিয়ম। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ১০০ দিনের কাজ, সেচ ও জল সংরক্ষণ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য বিক্রি, পণ্য আদান-প্রদানে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত যেসমস্ত এলাকাগুলি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত রয়েছে, সেখানেই ছাড় দেওয়া হবে। তবে কোন জেলা সংক্রমণ মুক্ত আর কোন জেলা নয়, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসরকারকে। বিস্তারিত পড়ুন- ২০ এপ্রিল থেকে সংক্রমণ মুক্ত এলাকায় লকডাউন শিথিল, রাজ্য বাছবে সংক্রমিত অঞ্চল
দেশে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা। দ্বিতীয় দফার ১৯ দিনের লকডাউনের শুরুতেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১২ হাজারের গন্ডি। দেশের ১৭০টি জেলা ছাড়াও আরও ২৭০টি জেলা আসতে পারে হটস্পটের তালিকায়, এমন সম্ভাবনার কথা জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ১৭০টি জেলাকে সরাসরি হটস্পট না বলে ১২৩টি জেলাকে “প্রধান সংক্রমণ স্থান” এবং ৪৭টি জেলাকে “হাইরিস্ক এলাকা” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পড়ুন- হটস্পটের তালিকায় ১৭০টি জেলা, সম্ভাব্যর তালিকায় আরও ২০৭
কর্মক্ষেত্রে বা জনসমক্ষে সর্বদা মুখ ঢেকে রাখতে হবে। জনসমক্ষে থুথু ফেললে জরিমানা হবে, সমস্ত কাজের জায়গায় কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, এগুলি তার অন্যতম।এসব পদক্ষেপ সেইসব ক্ষেত্রেই লাগু হবে, যেসব ক্ষেত্রকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম গাইডলাইন অনুসারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকমাস করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সারা দেশে এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হতে চলেছে। বিস্তারিত পড়ুন- মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক, থুথু ফেলা নিষিদ্ধ- ভারতের নয়া বিধিসমূহ
করোনা মোকাবিলায় সামিল এক পুলিশ কনস্টেবলের আক্রান্ত হল রাজ্যে। বুধবারই তাঁর রক্তের নমুনায় মিলেছে করোনাভাইরাস, খবর পিটিআই সূত্রে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানান হয়েছে রাজ্যে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। কিন্তু এ রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যান নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য মতপার্থক্য সামনে আসছে। সবিস্তারে পড়ুন- বাংলায় করোনা আক্রান্ত পুলিশ, পরিসংখ্যান নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বিমত প্রকট
দেশে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল বারো হাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩৮০। মৃত বেড়ে হয়েছে ৪১৪। তবে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪৮৮ জন। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০০ জন।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সংকট বাড়তে চলেছে দেশে। কাজ হারাতে চলেছে প্রায় ৭.৩ মিলিয়ন। এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের রেস্তোরাঁ, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। প্রতি মুহুর্তে লোকসানের অঙ্ক গুনছে তারা। খাবার সাপ্লাই দেওয়া থেকে রিয়েল এস্টেটের শ্রমিক এবং কর্মীদের অবস্থাও তথৈবচ। সবিস্তারে পড়ুন- কর্মক্ষেত্র ছারখার, অনিশ্চিত ৭০ লক্ষ চাকরি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর অবশেষে মুখ খুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা (হু)। ‘অতিমারী করোনাকে রুখে মানুষের প্রাণ বাঁচানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য়’, মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঙ্কারকে কার্যত আমল না দিয়ে এ ভাষাতেই মুখ খুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা। উল্লেখ্য়, করোনা মোকাবিলায় হু’র বিরুদ্ধে ব্য়র্থতার অভিযোগ তুলে ক’দিন আগেই সোচ্চার হয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর বিশ্ব আর্থিক সংস্থাকে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে আমেরিকা।ঠিক কী বলেছে হু?
বুধবারই লকডাউনের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কৃষি সহ আইটি, ই-কমার্সকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে। এছাড়া মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগানে জন্য আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।আগামী ২০ এপ্রিল থেকে সংশোধিত গাইডলাইন বলবৎ হবে। স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক পরিষেবা, মনরেগার কাজও ছাড়ের আওতাধীন। বাইরে বের হলে বা কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। সব সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন- ভারতজোড়া নয়া লকডাউনে কীসে ছাড়, কী নিষিদ্ধ?