পৃথিবী যেদিন থেকে করোনাভাইরাসের গ্রাসে পড়েছে, সেই থেকে এই অতিমারী নিয়ে নিজের মনের কথা প্রকাশ করার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশন দেওয়া থেকে শুরু করে গরমে ভাইরাস মরে যাবে- ট্রাম্পের নানা ধরনের মন্তব্যের মাঝে সে দেশে ৭৭ হাজার জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
এর মধ্যে একবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এও বলেছিলেন যে ভ্যাকসিন ছাড়াই করোনাভাইরাস চলে যাবে এবং তিনি মনে করছেন আমেরিকায় এ রোগে ৯৫ হাজার জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।
আরও পড়ুন, শিথিলতর লকডাউনের এক সপ্তাহ- সব খোলার রাস্তায় হাঁটছে কেন্দ্র
ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এবং টেস্টের ব্যাপারে একই রকম কথা মনে করি, ভ্যাকসিন ছাড়াই এ রোগ চলে যাবে। এ চলে যাবে, আশা করি কিছুদিন পর আমরা আর কখনও একে দেখব না।”
ঘটনা হল, এর কয়েকদিন আগেই নিজের মত বদলাতে অভ্যস্ত ট্রাম্প বলেছিলেন “দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োজন। আমাদের এ দেশের ভ্যাকসিন দরকার। এবং এ বছরের শেষেই আপনারা তা পেতে চলেছেন। আমি নিশ্চিতভাবে এ কথা বিশ্বাস করি। আমার ভুলও হতে পারে।”
করোনাভাইরাস নিয়ে ট্রাম্পের শীর্ষ ১০টি মন্তব্যের তালিকা এখানে দেওয়া হল
* এ অদৃশ্য হয়ে য়াবে। একদিন মিরাকেলের মতই এ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
* পেন্সের মুখপাত্র কেটি মিলার আগের দিন নেগেটিভ হওয়ার পরদিন যখন পজিটিভ হন, এই জন্যেই টেস্ট ব্যাপারটা ঠিকঠাক নয়। টেস্টে সব ঠিক কিন্তু তারপর মাঝখানে আবার কিছু একটা ঘটে গেল।
* যাঁদের টেস্ট প্রয়োজন তাঁদের টেস্ট হবে। তাঁরা টেস্টের সুবিধা পাবেন। টেস্ট বড় সুন্দর।
* আমি সর্বদাই জানতাম এটা সত্যি- এটা অতিমারী। কেউ একে অতিমারী বলার আগেই আমি জানতাম এটা অতিমারী। আমার সব সময়েই মনে হয়েছে এটা খুব গুরুতর।
* আপনারা একে জীবাণু বলতে পারেন, আপনারা একে ফ্লু বলতে পারেন, আপনারা একে বিভিন্ন নামে ডাকতে পারেন। আমি নিশ্চিত নই যে কেউ আদৌ জানে যে এটা ঠিক কী।
* আমরা কি কোনও রকম ইঞ্জেকশন ব্যবহার করতে পারি, যাতে শরীরের ভিতরটা সাফ হয়ে য়ায়! এটা পরীক্ষা করে দেখলে ইন্টারেস্টিং হবে।
* ইস্টার আমার কাছে বিশেষ দিন। আি ওই টাইমলাইনটা নিয়ে ভাবছিলাম। আমি বলছিলাম ওই সময়ে আমাদের গির্জাগুলো যদি ভর্তি হয়ে য়ায়ে তাহলে দারুন হবে না!
* তত্ত্বের দিক থেকে দেখলে, এপ্রিল মাসে, যখন একটু গরম পড়বে, এটা ম্যাজিকের মত চলে যাবে। আমার মনে হয় এটা সত্যি। আমরা আমাদের দেশে খুব ভাল কাজ করছি। আমি চিনের প্রেসিডেন্ট শিয়ের সঙ্গে কথা বলেছিস ওরাও খুব, খুব খাটছে। আমার মনে হয়ে সব মিলিয়ে খুব ভাল কাজ হবে।
* ভেন্টিলেটর একটা বড় ব্যাপার আর আমরা এখন ভেন্টিলেটরের রাজা। আমাদের কত ভেন্টিলেটর আছে।
* তাহলে সংবাদমাধ্যম মনে করে, আমাদের সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, কিন্তু আমরা, আমরা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টেস্ট করেছি। যদি আমরা কম টেস্ট করতাম আমাদের এত সংক্রমণ হত না। ফলে আমরা বেশি টেস্ট করানোর ফলে আমাদের চেহারা খারাপ করে ফেলেছি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
করোনাভাইরাস নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেরা ১০ মন্তব্য
জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশন দেওয়া থেকে শুরু করে গরমে ভাইরাস মরে যাবে- ট্রাম্পের নানা ধরনের মন্তব্যের মাঝে সে দেশে ৭৭ হাজার জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
Follow Us
পৃথিবী যেদিন থেকে করোনাভাইরাসের গ্রাসে পড়েছে, সেই থেকে এই অতিমারী নিয়ে নিজের মনের কথা প্রকাশ করার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশন দেওয়া থেকে শুরু করে গরমে ভাইরাস মরে যাবে- ট্রাম্পের নানা ধরনের মন্তব্যের মাঝে সে দেশে ৭৭ হাজার জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
এর মধ্যে একবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এও বলেছিলেন যে ভ্যাকসিন ছাড়াই করোনাভাইরাস চলে যাবে এবং তিনি মনে করছেন আমেরিকায় এ রোগে ৯৫ হাজার জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।
আরও পড়ুন, শিথিলতর লকডাউনের এক সপ্তাহ- সব খোলার রাস্তায় হাঁটছে কেন্দ্র
ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এবং টেস্টের ব্যাপারে একই রকম কথা মনে করি, ভ্যাকসিন ছাড়াই এ রোগ চলে যাবে। এ চলে যাবে, আশা করি কিছুদিন পর আমরা আর কখনও একে দেখব না।”
ঘটনা হল, এর কয়েকদিন আগেই নিজের মত বদলাতে অভ্যস্ত ট্রাম্প বলেছিলেন “দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োজন। আমাদের এ দেশের ভ্যাকসিন দরকার। এবং এ বছরের শেষেই আপনারা তা পেতে চলেছেন। আমি নিশ্চিতভাবে এ কথা বিশ্বাস করি। আমার ভুলও হতে পারে।”
করোনাভাইরাস নিয়ে ট্রাম্পের শীর্ষ ১০টি মন্তব্যের তালিকা এখানে দেওয়া হল
* এ অদৃশ্য হয়ে য়াবে। একদিন মিরাকেলের মতই এ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
* পেন্সের মুখপাত্র কেটি মিলার আগের দিন নেগেটিভ হওয়ার পরদিন যখন পজিটিভ হন, এই জন্যেই টেস্ট ব্যাপারটা ঠিকঠাক নয়। টেস্টে সব ঠিক কিন্তু তারপর মাঝখানে আবার কিছু একটা ঘটে গেল।
* যাঁদের টেস্ট প্রয়োজন তাঁদের টেস্ট হবে। তাঁরা টেস্টের সুবিধা পাবেন। টেস্ট বড় সুন্দর।
* আমি সর্বদাই জানতাম এটা সত্যি- এটা অতিমারী। কেউ একে অতিমারী বলার আগেই আমি জানতাম এটা অতিমারী। আমার সব সময়েই মনে হয়েছে এটা খুব গুরুতর।
* আপনারা একে জীবাণু বলতে পারেন, আপনারা একে ফ্লু বলতে পারেন, আপনারা একে বিভিন্ন নামে ডাকতে পারেন। আমি নিশ্চিত নই যে কেউ আদৌ জানে যে এটা ঠিক কী।
* আমরা কি কোনও রকম ইঞ্জেকশন ব্যবহার করতে পারি, যাতে শরীরের ভিতরটা সাফ হয়ে য়ায়! এটা পরীক্ষা করে দেখলে ইন্টারেস্টিং হবে।
* ইস্টার আমার কাছে বিশেষ দিন। আি ওই টাইমলাইনটা নিয়ে ভাবছিলাম। আমি বলছিলাম ওই সময়ে আমাদের গির্জাগুলো যদি ভর্তি হয়ে য়ায়ে তাহলে দারুন হবে না!
* তত্ত্বের দিক থেকে দেখলে, এপ্রিল মাসে, যখন একটু গরম পড়বে, এটা ম্যাজিকের মত চলে যাবে। আমার মনে হয় এটা সত্যি। আমরা আমাদের দেশে খুব ভাল কাজ করছি। আমি চিনের প্রেসিডেন্ট শিয়ের সঙ্গে কথা বলেছিস ওরাও খুব, খুব খাটছে। আমার মনে হয়ে সব মিলিয়ে খুব ভাল কাজ হবে।
* ভেন্টিলেটর একটা বড় ব্যাপার আর আমরা এখন ভেন্টিলেটরের রাজা। আমাদের কত ভেন্টিলেটর আছে।
* তাহলে সংবাদমাধ্যম মনে করে, আমাদের সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, কিন্তু আমরা, আমরা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টেস্ট করেছি। যদি আমরা কম টেস্ট করতাম আমাদের এত সংক্রমণ হত না। ফলে আমরা বেশি টেস্ট করানোর ফলে আমাদের চেহারা খারাপ করে ফেলেছি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন