সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর রক্তের প্লাজমা দিয়েই করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার ভাবনা। সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীরে তৈরি হয় ভাইরাসরোধী অ্যান্টিবডি। সেই অ্যান্টিবডিই রয়ে যায় তাদের রক্তের প্লাজমায়। সুস্থদের প্লাজমাতে থাকা সেই অ্যান্টিবডি আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। আপাতত এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেই অতি সংকটজনক করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে আগ্রহী আইসিএমআর। তৈরি হচ্ছে প্লাজমা চিকিৎসাবিধি।
Advertisment
আইসিএমআরের এক আধিকারিক বলেন, 'প্লাজমা থেরাপি কী পদ্ধতিতে প্রয়োগ হবে তার বিধি তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। এরপর তা দেশের ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে অতি সংকটজনক বা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন এমন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে।' আইসিএমআরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিওলজির ডিরেক্টর ডঃ মনোজ মুখেকর বলেন, 'কেরালায় পরীক্ষামূলভাবে এই প্লাজমা পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।'
Advertisment
করোনা পরীক্ষা কাদের হবে? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে ভারতে গাইডলাইনের পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে করোনা হটস্পট এলাকায় সাত দিন কেই জ্বরে ভুগলেই অ্যান্টিবডি টেস্ট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, উপসর্গ যাচাই করে তবেই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল।
করোনা মোকাবিলায় বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। করোনায় রাজ্যগুলোর জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে মাস্ক, পিপিই, ভেন্টিলেটর জোগাড় করতে নিষেধ করেছে। রাজ্যগুলির চাহিদার ভিত্তিতে কেন্দ্র তা দেবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও আগাম ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষার হার দেড় গুণ পর্যন্ত বাডা়তে বলেছে মোদী সরকার।
এদিকে লকডাউনের মেয়াদ শেষের আগেই আড়াই লাখ নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলির কাছে ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে ব্যাপকহারে অ্যান্টিবডি জাতীয় রক্ত ও লালারস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর রিপোর্টের উপরই নির্ভর করবে করোনা রোধে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি। তাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ণের লক্ষ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।