নিউমোনিয়া সহ গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগীদেরও এবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র। উপসর্গ বা বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস না থাকলেও করাতে হবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা। সব হাসপাতালগুলির কাছেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে মোদী সরকার। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
বর্ধিত টেস্টিং প্রোটোকল অনুশারে, নিশ্চিত উপসর্গ বা করোনা আক্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে এমনসব লোকেদেরে ৫-১৪ দিনের দিনের মধ্যে একবার পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে বলা হয়েছিল, নিউমোনিয়া আক্রান্তদেরও করোনা পরীক্ষা করতা হবে। তবে, ভারতে গত দু'দিন যেহারে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে তা মোকাবিলার জন্যই নতুন নির্দেশিকা বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: LIVE: দেশজুড়ে জারি ‘জনতা কার্ফু’
বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে দামেরর উর্ধ্বসীমা বেধে দিয়েছে মোদী সরকারর। এক্ষেত্রে দাম ধার্য হয়েছে ৪,৫০০ টাকা। তার মধ্যে স্ক্রিনিং-সহ অন্যান্য প্রাথমিক খরচ ১,৫০০ টাকা এবং চূড়ান্ত পরীক্ষার খরচ সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা নেওয়া যেতে পারে। উপযুক্ত চিকিৎসকের নির্দশের ভিত্তিতে, বায়ো সেফটি ও নমুনা সংগ্রহের পকৃত পরিকাঠামো থাকলেই এই পরীক্ষা করা যাবে বলে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা আছে। তবে বিনামূল্যে টেস্টের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে বেসরকারি ল্যাবগুলিকে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘জাতীয় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে বিনামূল্যে বা ভর্তুকিযুক্ত টেস্টের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।’ পাশাপাশি ল্যাব পর্যন্ত আসার সময় সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের পক্ষেও সওয়াল করেছে আইসিএমআর।
ভারতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার মানদণ্ড সঠিক নয়। গত কয়েকদিন ধরেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার মানদণ্ড গত শুক্রবার রাতেই বদল করে কেন্দ্র। নিউমোনিয়া হলেই করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিল মোদী সরকার। হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে কোনও রোগীকেই ফেরানো চলবে না। এক্ষেত্রে রোগীর পরিচয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা ইন্টারগ্রেটেড ডিজিজ সারভিলেন্স প্রোগ্রামকে অবিলম্বে জানাতে হবে। একইসঙ্গে নিউমোনিয়া আক্রান্তদেরও করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রেও রোগীর পরিচয় উক্ত দুই সংস্থাকে জানাতে হবে।’
আগে, উপসর্গ বিচার করে, রোগীর বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস রয়েছে কিনা অথবা রোগী করোনা আক্রান্তের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন কিনা- এইসব বিচার করেই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছিল।
বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩১৫। এদের মধ্যে ২৩ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
Read the full story in English