Advertisment

করোনা জের! তিহার জেল ফাঁকা করতে মুক্তি দেওয়া হল হাঁপানি, ক্যান্সার আক্রান্ত বন্দিদের

সংক্রমণ এড়াতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল জেল কর্তৃপক্ষ। ক্যান্সার, হেপাটাইটিস বি অথবা সি, হাঁপানি, যক্ষ্মা আছে এমন বন্দিদের প্যারোল এবং জামিনে মুক্তি দিলেন তাঁরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র।

কোভিড-১৯ ভাইরাসের ছায়া এবার তিহার জেলে। সংক্রমণ এড়াতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল জেল কর্তৃপক্ষ। ক্যান্সার, হেপাটাইটিস বি অথবা সি, হাঁপানি, যক্ষ্মা আছে এমন বন্দিদের প্যারোল এবং জামিনে মুক্তি দিলেন তাঁরা। ২৩ মার্চ থেকে মোট ২৯৬২ জনকে মুক্তি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisment

প্রসঙ্গত, করোনা প্রাদুর্ভাব রুখতে এবং জেলে সামাঝিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে দণ্ডপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন বন্দিদের কীভাবে মুক্তি দেওয়া যায় সেই মান নির্ধারণের জন্য সব রাজ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইতিমধ্যেই সব রাজ্য ৩০ থেকে ৬০ দিনের জন্য বন্দিদের জামিনে অথবা প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে। দিল্লিতে এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি। এছাড়াও রয়েছেন রাজ্য আইনজীবি কর্তৃপক্ষের (ডিএসএলএসএ) সদস্য সচিব কানওয়াল জিৎ অরোরা, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিব (স্বরাষ্ট্র) / অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সত্য গোপাল এবং তিহার (কারাগার) ডিরেক্টর সন্দীপ গোয়েল।

শনিবার ডিএসএলএস-এর তরফে বলা হয়েছে, "আট সপ্তাহের জন্য আজ অবধি ২৯৬২ জন বন্দি জামিনে অথবা প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে। এই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির তরফে যেসব বন্দিদের ক্যান্সার, হেপাটাইটিসবি অথবা সি, যক্ষ্মা, কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়িয়ে তা ৪৫ দিন করা হয়েছে। সেই মোতাবেক আরও ৫০ জন বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হতে পারে একই নিয়মে।"

নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে বন্দিদের সঠিকভাবে মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করানোর পরই তাঁরা বাড়ির উদ্দেশে যেতে পারবেন। তবে যারা বিদেশী নাগরিক, সন্ত্রাস মামলা, নাবালিকাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, দুর্নীতি, দেশবিরোধী কার্যকলাপ, নারকোটিক ড্রাগস আইনের আওতায় রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই নীতি কার্যকর হবে না।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus
Advertisment