নাম এবং গোত্র জানা থাকলেও চরিত্রে একেবারেই অচেনা ছিল নভেল করোনাভাইরাস। তার উপর এমআরএন চরিত্রের হওয়ায় ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছিল রূপ। হিমশিম খাচ্ছিলেন গবেষকরাও। অবশেষে বিশ্বজুরে স্যাম্পেল টেস্টের মাধ্যমে মিলল বেশ কিছু ভ্যাকসিন। আর সেই ভরসাতেই এবার ওষুধ প্রস্তুত শুরু করল সংস্থাগুলি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত মানব দেহে ১৩টি গবেষণা হয়েছে ভ্যাকসিনের। আরও ১২০টি ভ্যাকসিন রয়েছে যারা উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের মাঝামাঝি সময়েই হাতে আসবে ভ্যাকসিন। চিন এবং আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থারা ইতিমধ্যেই মানুষের শরীরে এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় এল বিশ্ব বিখ্যাত ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)।
জিএসকে বা গ্ল্যাক্সোস্মিথ চিকিৎসা মহলে জনপ্রিয় নাম। ব্রিটেনের এই সংস্থা একটি প্রজেক্টে তাঁরা ইতিমধ্যেই ক্লিনিকাল ট্রায়াল করেছে তাঁদের ভ্যাকসিনের। সংস্থার প্রধান মেডিকেল অফিসার থমাস ব্রিউয়ার বলেন যে সংস্থাটি ধীরে কাজ করে একটি সঠিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বেশি বিশ্বাসী। যেরকম টেকনলজি আছে তা দিয়েই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে তাঁরা।
জানা গিয়েছে একটি 'অ্যাডজুভান্ট' (উপকারি) বুস্টারের সঙ্গে যে ভ্যাকসিনগুলি এতকাল ধরে চলে আসছে সেগুলিকে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। ব্রিউয়ার বলেন যে এই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরি করা হলে তার উপকারীতা যেমন থাকে তেমনই অনেকদিন পর্যন্ত মানবদেহকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন