শেষ পর্যন্ত করোনা প্রতিষেধক হিসাবে ছাড়পত্র পেল বাবা রামদেবের সংস্থার ওষুধ করোনিল। আয়ুশ মন্ত্রক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেশন স্কিম অনুসারে এই অনুমোদন দিয়েছে। অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে করোনিল প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার এই দাবি করেছে পতঞ্জলি।
এদিন করোনিলের উদ্বোধনে বাবা রামদেবের সঙ্গে হাজির ছিলেন দুই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন এবংনীতিন গড়করি। পতঞ্জলি আবিষ্কৃত এই নতুন ওষুধ করোনা নিরাময় করবে বলে দাবি তাঁদের।
পতঞ্জলির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, করোনিল ড্রাগটি CoPP-WHO GMP সার্টিফাইড। ওষুধটির উদ্বোধনের সময় বাবা রামদেব জানিয়েছেন, আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে গবেষণা করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবার এটি বিশ্বের ১৫৮টি দেশে পাঠাতে কোনও বাধা রইল না। এছাড়াও রামদেবের দাবি, প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ এবার সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা পাবে।
আয়ুশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসার সহায়ক হিসাবে করোনিল ট্যাবলেটকে মাণ্যতা দেওয়া হল।
গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ঘিরে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে। করোনাভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। মানুষের উৎকণ্ঠা -আশঙ্কা চরমে। সেই সময়ই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। সংস্থার দাবি করে, পতঞ্জলির তৈরি 'করোনিল' ট্যাবলেট নাকি ৭ দিনেই করোনা সংক্রমণ সারিয়ে দেবে। এমনকী করোনিল বাজারজাতও করে দেওয়া হয়।
এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ বিভাগ জানিয়ে দেয়, করোনা চিকিৎসায় ওষুধ ব্যবহারের কোনও লাইসেন্সই পতঞ্জলি নেয়নি। শুধু জ্বর এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক ওষুধ তৈরির অনুমতি চেয়েছিল রামদেবের সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুশ মন্ত্রক পতঞ্জলিকে করোনার বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়। এমনকী এফআইআর হয় রামদেবের বিরুদ্ধেও। বাধ্য হয়ে সেই সময় পতঞ্জলি জানায়, করোনা রুখতে কোনও ওষুধ তাঁরা আবিষ্কার করেনি। শুরু হয় বিতর্ক। যদিও এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীকে দিয়েই করোনিল প্রকাশ্যে আনলেন বাবা রামদেব। আপাতত দেশজুড়ে করোনার বিরুদ্ধে তাক লাগানোর অপেক্ষায় করোনিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন