আরও চাপে বিজেপি, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়েরের নির্দেশ আদালতের

কর্নাটক সরকার বেঙ্গালুরুর বেল্লাদুর এলাকায় ৪৩৪ একরের এক বেসরকারি জমি বিনা নোটিসে জবরদখল করে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক তৈরির কথা জানিয়েছিল।

কর্নাটক সরকার বেঙ্গালুরুর বেল্লাদুর এলাকায় ৪৩৪ একরের এক বেসরকারি জমি বিনা নোটিসে জবরদখল করে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক তৈরির কথা জানিয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
yediurappa

কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার গ্রহণযোগ্যতা খুঁজে পেল বিশেষ আদালত। অভিযোগকারীর দাবি কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৬-০৭ সালে ইয়েদুরাপ্পা সরকারি সম্পত্তিকে বেসরকারি হাতে হস্তান্তর করেছিলেন। কর্নাটকের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো এই বিশেষ আদালতে চলছে।

Advertisment

এখানেই ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ২০০৬-০৭ সালের পুরনো এক মামলা চলছে। বিনা বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি জমি তত্কালীন উপমুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এমনই অভিযোগ ইয়েদ্দির বিরুদ্ধে। বাসুদেব রেড্ডি নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেছেন। যার তদন্ত করেছে কর্নাটকের লোকায়ুক্ত। মামলা গ্রহণ করা হবে কি না, সেই নির্দেশনামায় বিশেষ আদালত বলেছে, 'দ্বিতীয় অভিযুক্ত বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালের দুর্নীতিদমন আইনের ১৩ (১) (d) r/w Sec. 13(2) ধারায় অপরাধমূলক মামলা দায়ের করতে হবে।'

গত ২৬ মার্চের নির্দেশনামায় বিশেষ বিচারক জয়ন্ত কুমার তাঁর নির্দেশনামায় বলেছিলেন, 'বিভিন্ন মত গ্রহণ করে দেখেছি, এই মামলার বর্তমান অবস্থায় অভিযোগকারীর দায়ের করা কোনও নথিই অবিশ্বাস করার মত না। তিনি প্রাথমিক ভাবে একটি মামলা দায়ের করেছেন মাত্র।' বিচারক বলেছেন, 'অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা শুরু, তাঁকে আদালতে তলব করার মত যথেষ্ট নথি রয়েছে, অভিযোগকারীকে নিজের অভিযোগগুলো প্রমাণের সুযোগ দেওয়ার কথাই বিবেচনা করছি।'

কর্নাটক সরকার বেঙ্গালুরুর বেল্লাদুর এলাকায় ৪৩৪ একরের এক বেসরকারি জমি বিনা নোটিসে জবরদখল করে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক তৈরির কথা জানিয়েছিল। সেই জমি আবার নোটিস ছাড়াই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। এতে ওই জমির প্রকৃত মালিকের যেমন ক্ষতি হয়েছে। তেমনই, কর্নাটক সরকারের রাজস্বেরও ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার সময় কর্নাটকে জেডিএস-বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ছিল। ১৫ বছর আগের ওই ঘটনাই এখন ইয়েদুরাপ্পার গলার কাঁটা হয়ে বিঁধছে।

Advertisment

২০১৩ সালে আদালতে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে লোকায়ুক্ত পুলিশ এই মামলা হাতে নেয়। ইয়েদুরাপ্পা ২০১৯ সালে মামলাটি খারিজের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, আদালত ইয়েদুরাপ্পার আবেদন খারিজ করে দেয়। উলটে, লোকায়ুক্ত পুলিশকেই মামলাটি ঠিকমতো তদন্ত না-করার জন্য অভিযুক্ত করে। একইসঙ্গে, দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেয়।

Read story in English

karnataka Yediurappa Corruption