Advertisment

মণিপুর ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে পুলিশকে তুলোধোনা, শীর্ষ আদালতকে কী জানাল কেন্দ্র?

এটিই একমাত্র ঘটনা নয় যেখানে মহিলাদের লাঞ্ছিত বা হয়রানি করা হয়েছে, উল্লেখ শীর্ষ আদালতের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
manipur, manipur issue, todays news, india news, supreme court, ministry of home affairs, manipur women sexual assault, manipur sexual assault case,manipur case"

মণিপুর ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে পুলিশকে তুলোধোনা। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন ঘটনাটি যখন ৪ মে ঘটেছে তখন ১৮ মে কেন FIR দায়ের?

মণিপুর ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে সোমবার ফের শুনানি করল সুপ্রিম কোর্ট। এই সময় সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর পুলিশকে প্রশ্ন করেছে ৪ মে যখন মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনা ঘটে তখন কেন ১৮ মে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে? ৪ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত পুলিশ কী করছিল?

Advertisment

সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মণিপুর ভিডিও কাণ্ডের শুনানি করার সময় উল্লেখ করেন, ভিডিওটি প্রকাশের পরে ঘটনা সম্পর্কে সকলে অবগত হয়েছেন। তবে এটিই একমাত্র ঘটনা নয় যেখানে মহিলাদের লাঞ্ছিত বা হয়রানি করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক ঘটনারও নজির রয়েছে।সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছে ভিডিও কাণ্ডে যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সেক্ষেত্রে অন্তত দুজন মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ কী করছিল?

শুনানি চলাকালীন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল, মণিপুরের দুই নির্যাতিতা মহিলার পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেছেন যে মহিলারা বিষয়টির সিবিআই তদন্ত এবং অসমে মামলা স্থানান্তরের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেছেন যে 'আমরা কখনই অসমে বিচার ব্যবস্থা স্থানান্তর করার অনুরোধ করিনি।

তবে সোমবারের শুনানি চলাকালীন উঠে আসে মণিপুরের আরও অভিযোগ। ভাইরাল ভিডিওর দুই মহিলা ছাড়াও আরও অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন সেরাজ্যে। সেই বিষয়টি তুলে ধরে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের আর্জিও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে শেষ পর্যন্ত কার হাতে যাবে তদন্তভার, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মণিপুরের ঘটনার পরিসংখ্যানের দিকে সুপ্রিম কোর্ট যদি নজর রাখে তাহলে কোনও আপত্তি নেই।

সরকারের পক্ষে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলে কেন্দ্রের কোনো আপত্তি নেই। একই সময়ে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের স্ট্যাটাস রিপোর্ট অনুসারে, ৫৯৫ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কতগুলি যৌন নির্যাতনের, কতগুলি অগ্নিসংযোগের, কটি হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই।

২৮শে জুলাই, ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লার একটি হলফনামা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই মামলাটি প্রকাশের পর থেকে "নিরবিচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ" করছে। এটি সিবিআই-এর কাছে তদন্ত হস্তান্তর করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেছে এবং মণিপুরের বাইরে আদালতে বিচার চালানোর অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

হলফনামায় আরও বলা হয়েছে যে চুরাচাঁদপুর জেলা হাসপাতালের দু'জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন মনোবিজ্ঞানীর সমন্বয়ে একটি সর্ব-মহিলা দল গঠন করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য। হলফনামা দাখিল করার সময়, কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে "চুরাচাঁদপুরের সুশীল সমাজের সংগঠনগুলির প্রতিরোধের" কারণে রাজ্য কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের কাছে শারীরিক বা টেলিফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি।

Manipur
Advertisment