বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লক্ষেরও বেশি। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এবার সামনে এল এক বিস্ফোরক তথ্য। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফের একটি সমীক্ষায় দেখ গিয়েছে, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে করোনায় মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ, সেই দেশেই সবচেয়ে বেশি অভাব রয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এবং মানব বিকাশের ক্ষেত্রে। ইউনাইটেড নেশনস ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) দ্বারা এমনই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জনন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, জিম্বাবোয়েতে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ। এখনও পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এমনকী বাহামাস, গায়ানা, আলজেরিয়া এবং মায়ানমারেও চিত্রটা কমবেশি একই। এবার যদি স্বাস্থ্য, শিক্ষার বিকাশ এবং জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিচার করা হ,য় সেক্ষেত্রে মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৯টি দেশের মধ্যে জিম্বাবোয়ের স্থান ১৫০। আর গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটির (জিএইচএস) সূচকে ১৯৫টি দেশের মধ্যে জিম্বাবোয়ে রয়েছে ১৩২ তম স্থানে।
বাহামাসে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটির (জিএইচএস) সূচকে বাহামাসের স্থান ১৭৭। গায়ানাতে ৩৭ জন আক্রান্ত, মৃত ৬, মায়ানমারে আক্রান্ত ২৩, মৃত ৩। এদিকে প্রতিটি দেশের জিএইচএস সূচক ইঙ্গিত করছে যে তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভয়ঙ্কর করোনা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে।
এবার দেখা যাক বিশ্বে জিএইচএস সূচকে যারা এগিয়ে আছে তাদের অবস্থা। ইটালি, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্সে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ১৮,২৭৯, ৭,৯৯৩, ২,৪০৩ এবং ১২,২২৮। মানব উন্নয়ন সূচকে ইটালি রয়েছে ২৯ নম্বরে। তবে এটা ঠিক যে ইটালির বেশিরভাগ বাসিন্দাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব। তাই হয়তো পেয়ে বসেছিল করোনা!
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন