লেফটেন্যান্ট কর্নেলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে কর্নেলের বিরুদ্ধে কোর্ট অফ এনকোয়ারির নির্দেশ দিল সেনা। নয়াদিল্লিতে মিশন অলিম্পিক উইংয়ে করা পোস্টের ভিত্তিতে ওই কর্নেলের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিলিটারি কলেজ অফ টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (এমসিটিই), মহু-তে পোস্ট করা লেফটেন্যান্ট কর্নেলের অভিযোগের ভিত্তিতে, লখনউয়ের সদর দফতরে সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সেনা সদর-এমসিটিই-এর ব্রিগেডিয়ার-ইন-চার্জ-প্রশাসনের কাছে দায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, কার্যনির্বাহী ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ (আইএস অ্যান্ড সি), লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফার্নান্দেজ বোর্ড অফ অফিসারদের অভিযুক্তের ডিজিটাল নিদর্শনগুলো (মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ) বাজেয়াপ্ত এবং সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই বাজেয়াপ্ত করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রমাগত বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত কর্নেলকে একজন অফিসার এবং দুই জওয়ানের নজরদারিতে 'নিবিড় গ্রেফতারিতে' রাখা হয়েছে।
যে অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি দাবি করেছেন যে তাঁকে তাঁর ডিজিটাল সম্পদ হস্তান্তর করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের ডিজিটাল প্রত্নবস্তু বাজেয়াপ্ত করার জন্য প্রাথমিকভাবে তাকে মিথ্যা কারণ বলা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে বলা হয়েছিল যে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে কিছু গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে এগুলো বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে জি২০ বৈঠক: প্রস্তুতিতেই খরচ ৪,১০০ কোটি: কোথায় ব্যয় হল এত টাকা?
সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযুক্ত কর্নেল আরও দাবি করেছেন যে তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়েছে। তাঁকে দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের বেস হাসপাতালে মানসিক সমস্যার ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কর্নেল আরও অভিযোগ করেছেন যে তাঁর সরকারি বাসভবন অফিসার্স বোর্ড গালা দিয়ে সিল করে দিয়েছে। এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর নির্দেশে স্পষ্ট করা হয়েছে যে যেহেতু অফিসার তাঁর মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ শেয়ার করছিলেন না। তাই একটি অফিসার বোর্ডের উচিত তাঁর বাড়ি পরিদর্শন করা, ওই সব জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা। আর, যদি বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়, তবে সেটি সিল করে দেওয়াই উচিত।